গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার জামিন প্রশ্নে দেয়া রুলের ওপর চ‚ড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৯ আগস্ট আরিফুলকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আদালতে আরিফুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
পরে আবদুল হালিম কাফি সাংবাদিকদের বলেন, কিবরিয়া হত্যা মামলায় ১৭৬ জনের মধ্যে ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যে আরিফুলের জড়িত থাকার বিষয়টি আসেনি। ২০১৪ সাল থেকে আরিফুল কারাগারে আছেন। তিনি অসুস্থ। শুনানিতে এসব যুক্তি দেয়া হয়েছে। আদালত জামিন দিয়েছেন। তবে একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা থাকায় আরিফুল এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। এদিকে মো. বশির উল্লাহ বলেন, আরিফুলকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে হবিগঞ্জ সদর থানায় দুটি মামলা হয়। অধিকতর তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৪ সালে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেখানে আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয় আরিফুল হকসহ ১১ জনের নাম। ওই বছর ২১ ডিসেম্বর আদালত নতুন ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকেই সিলেটের এই বিএনপি নেতা কারাগারে রয়েছেন। আদালতে গৃহীত অভিযোগপত্রে নাম আসায় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে মেয়র পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করে সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।