পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী এবং সনাতনী হিন্দু প্রতিষ্ঠান প্রবর্তক সংঘের শিক্ষক, কর্মকর্তাদের উপর ইসকন কর্মীদের হামলার ঘটনায় তোলপাড় চলছেই। সনাতনীদের মধ্যে এই ঘটনার নিন্দার ঝড় বইছে। নিজ ধর্মের মানুষের উপর এমন বর্বর আক্রমণের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে সব মহল থেকে। একই সাথে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে জনে জনে।
গতকাল মঙ্গলবারও এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ইসকনের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে নামছেন সনাতনী সংগঠনের নেতারা। আগামী ৩০ মার্চ সনাতনী সব সংগঠনের নেতাদের সাথে এ বিষয়ে একটি মতবিনিময় সভার প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তারা জানান, তারা ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানের স্বার্থবিরোধী কোনো কর্মকান্ড বরদাশত করবেন না। সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে যেকোনো চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে। ইসকনের সাথে যে চুক্তি হয়েছে তার কোনো ব্যত্যয় মানতে নারাজ প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এক্ষেত্রে ইসকনকে একচুলও ছাড় দেয়া হবে না।
এদিকে প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর ইসকন কর্মীদের সশস্ত্র হামলার ঘটনায় তদন্তে নতুন গতি এসেছে। আদালতের নির্দেশে প্রতিবেদন দিতে তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবিরুল ইসলাম। গতকাল তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই তদন্ত শুরু হয়। তবে আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলা হয়েছে। কিছু আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রবর্তক সংঘের পক্ষ থেকে মামলায় ইসকনের সাত-আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসাবে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রবর্তক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হত্যাপ্রচেষ্টাসহ বেশকিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি জানান, আগামী ১৮ এপ্রিল আদালতে মামলার শুনানির দিন ধার্য আছে।
মামলার তদন্ত তদারকির দায়িত্বে থাকা নগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, যাদের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে তারা ছাড়া কারা এ হামলায় জড়িত ছিল তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আশা করি আদালতের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা যাবে। প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তারা জানান, ইসকনকে মন্দির নির্মাণের জন্য দেওয়া জমির বাইরে তারা স্থাপনা তৈরী করে। প্রবর্তকের স্বার্থে ওই স্থাপনা সরিয়ে কাজ করতে গেলে গত ১৪ মার্চ কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় ইসকনের লোকজন।
এদিকে ইসকনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জনমত তৈরি করছেন অনেকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এ নিয়ে বেশ সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত রিপোর্টেও পাঠকরা তাদের মতামত তুলে ধরছেন। মঙ্গলবার ‘সাধুবেশে সস্ত্রাসী ইসকন’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টে অনেক পাঠক তাদের মন্তব্য দেন। তাদের বেশিরভাগই এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন। পারভেজ নামে একজন পাঠক লিখেন- ‘হাবভাব দেখে মনে হয় ইসকনকে যথেচ্ছা করার স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।’ হান্নান খান লিখেন- ‘সরকার বা প্রশাসন কেউ ইসকনের বিরুদ্ধে কিছুই করবে না বরং তাদের পেট্রোনাইজ করবে। সুতরাং যা করার জনসাধারণকেই করতে হবে। আর যাহাই ইসরায়েল, যাহাই আই এস, তাহাই ইসকন---।’ শাহরিয়ার এইচ মুন্না লিখেন- ‘জঙ্গি সংগঠন এটা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে কাজ করছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।