পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৫০ বছরের জন্য চীনের জ্বালানি সুরক্ষাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেবে সউদী আরবের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো। রোববার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিইও) আমিন নাসের এই তথ্য জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
মহামারির কারণে বিগত বছর উৎপাদন কমে যাওয়া সত্তে¡ও চীনে তেল রফতানির দিক দিয়ে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছে সউদী আরব। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসও শীর্ষে অবস্থান করছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী দেশটি। চীনা কাস্টমসের তথ্যমতে, প্রতিদিনের হিসাবে যার পরিমাণ ২ দশমিক ১ থেকে এক দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত সরবরাহ হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চীনা উন্নয়ন ফোরামকে আমিন নাসের বলেন, ‘চীনের জ্বালানি চাহিদার ধারাবাহিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রয়েছে। এটা কেবল আগামী ৫ বছর নয়, বরং পরবর্তী ৫০ বছরের জন্য।’ চীনের জ্বলানি চাহিদার শীর্ষ সরবরাহকারী হওয়া ছাড়াও তাদের শক্তি স্থানান্তরে দ্বিতীয় শতবর্ষের লক্ষ্য অর্জনেও আরামকো সহায়তা করবে বলে জানান তিনি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করা এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদনে চীনে যে গবেষণা হচ্ছে, তাতে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই সউদী সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিওবার্তায় আরামকোর প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, চীন সরকারের এই পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় সউদী সরকারের জ্বালানি সম্পদ বিভাগ। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামকে পরিবেশবান্ধব রাসায়নিক পদার্থে রূপান্তর বিষয়ক যে গবেষণা চলছে, তাতেও অংশ নিতে চায় সউদী আরব। ‘প্রকৃতপক্ষে, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সম্পদ উৎপদনে চীনের সঙ্গে যুগপৎভাবে গবেষণা করতে চায় সউদী আরব। এ কারণে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করে তুলতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ চীনের জ্বালানি তেল বিষয়ক গবেষণা সংস্থা চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন রিসার্চ ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ দেশটির বার্ষিক পেট্রোলিয়াম চাহিদা ৭৩০ মিলিয়ন টনে পৌঁছাবে।
২০২০ সাল পর্যন্ত রাশিয়া ছিল চীনের সর্ববৃহৎ পেট্রোলিয়াম যোগানদাতা দেশ, কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দু’মাসে এই প্রতিযোগিতায় রাশিয়াকে পেছনে ফেলেছে সউদী আরব। গত জানুয়ারি থেকে পূর্বেবর্তী বছরগুলোর তুলনায় চীনে ২ দশমিক ১ শতাংশ (১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ব্যারেল) অধিক পেট্রোলিয়াম সরবরাহ করছে দেশটি। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বলছে, মহামারির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা কমলেও চীনে প্রতিদিনই বাড়ছে এর চাহিদা। বর্তমানে দেশটির জ্বালানি তেলের চাহিদা পৌঁছেছে প্রায় মহামারি শুরুর আগের পর্যায়ে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘোষণা করেছিলেন, তার দেশ ২০৩০ সালের আগেই কার্বন নিঃসরন কমানোর দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরন শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।