Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি আসছেন কি না প্রশ্ন গয়েশ্বরের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন চলছে। লোকে বলে, পত্রিকা বলে, গবেষকরা বলে, পশ্চিমবঙ্গের বসবাসকারী মতুয়া সম্প্রদায়ের যারা এখানে ওয়ারিশ আছেন তাদের সাথে মোলাকাত করার জন্য তিনি আসছেন- এটা একটা নির্বাচনী প্রচার। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে নির্বাচনে অনেক দল অংশগ্রহণ করে। আমরা যদি একটি দলকে এই নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ করে দেই তাহলে কী দাঁড়ায়? কী দাঁড়ায় এটা?

গতকাল সোমবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে অসুস্থ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা খোন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, ডা. দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিনের আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলপূর্ব এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে স্বাধীনতা বিপন্ন। স্বাধীনতা আমরা অন্যান্য বছর যেভাবে উদযাপন করেছি, সেটুকু সুযোগ আমাদের জন্য রাখা হয়নি। সাধারণভাবে ২৬ মার্চ প্রতিবছর পালন করি। সেই সুযোগটাও রাখা হয়নি। বিদেশীদের সার্টিফিকেট এখন বেশী প্রয়োজন হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কারণ মানুষের আস্থার জায়গাটা শেখ হাসিনার জন্য ক্ষীণ হয়ে গেছে। সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা আসুক। ভালো কথা। এটা তো ভালো। সুবর্ণজয়ন্তীতে আসবেন। এটা আমরা স্বাগতম জানাই। কিন্তু তাদের কারণে আমাদের ঘরে বন্দি থাকতে হবে। আমরা আমাদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ উপভোগ করতে পারবো না, এটা কিসের স্বাধীনতা? কি কারণে বলেছি, বিপন্ন স্বাধীনতা? এই কারণেই বলছি।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ড থেকে সরকারি দলের লোকেরা লুটপাটের সুযোগ পান, তাই তারা উন্নয়নের প্রচারণায় ব্যস্ত। উন্নয়নের মাধ্যমে যে লুটপাট তারা করছেন এই লুটপাটটা যদি করতে না পারতেন তাহলে এই উন্নয়নের জন্য তারা মাথা ব্যথা খারাপ করতেন না। উন্নয়ন হচ্ছে সরকারের একটি চলমান দায়িত্ব। সব সরকারকেই করতে হবে, এতে বাহবা নেওয়ার কিছু নাই।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কিন্তু জনগণকে ভিক্ষা দেওয়া না। উন্নয়ন হলো জনগণের অধিকার জনগণের টাকায়। জনগণের টাকায় তাদের জন্য রাস্তা বানাবেন, খরচ দেখাবেন হাজার কোটি টাকা। ৮০০ কোটি টাকা পকেটে ভরবেন আর ২০০ কোটি টাকা থাকবে। ৮০০ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বইবে জনগণ।
করোনা আক্রান্ত জটিলাকার ধারণ করছে মন্তব্য করে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজ বাংলাদেশের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে এ তালিকার বাইরে আরও অনেকেই অসুস্থ আমাদের জানানো মতে। শুধু কোভিড-১৯ আক্রান্ত তা নয়, আরও অনেক রোগে অনেকেই আক্রান্ত। তবে আরও জটিল বিষয় হচ্ছে, যারা করোনার টিকা নিয়েছে তাদের অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছে।
তিনি বলেন, এর মধ্যে আরও বিড়ম্বনা হচ্ছে, গত রোববার সারাদিন দেখলাম সমস্ত টেলিভিশন, অনলাইন, পত্রিকায় নিউজ এসেছে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা হতে পারে। লকডাউন হতে পারে। এ কথাটি বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার আবার দেখলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলছে একথা আমরা বলিনি। যারা বলছে তারা মিথ্যা বলছে। ওই নিউজের কারণে ওইসব টেলিভিশন বা পত্রিকার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হবে কিনা জানি না। যদি সরকারের আঁচলের তলে থাকে তাহলে হয়তো হবে না। আর তা না হলে হতেও পারে। অসুখের যন্ত্রণার চেয়ে এই যন্ত্রণা কম নাকি আমাদের জীবনে? এই জুলুম, অত্যাচার, খামখেয়ালিপনা, জাহেলিয়াত এটাও তো অনেক বড় জিনিস।
ঢাকা জেলার সহ-সভাপতি আজগর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম, আকম মোজাম্মেল, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হকসহ জেলা নেতারা বক্তব্য দেন।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ