Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গৃহবধূকে নির্যাতনে ভাইরাল হওয়া সেই চাচা আটক: থানায় মামলা

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০২১, ১০:১৫ পিএম | আপডেট : ১০:৩৯ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২১

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন । সেই মামলা তুলে নিতে ওই গৃহবধূকে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু মামলা না তোলায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় ওই নারীকে। নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে গণমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। পরে বিষয়টি ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের নজরে আসলে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করলে সোমবার রাতে নির্যাতিত গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় গৃহবধূর চাচাকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামের সৌদি প্রবাসী শহীদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি গৌরীপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ালেখা করছেন। ২০১৮ সালে তার ফুফাতো ভাই পাভেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পাভেলের বাড়ি উপজেলার নওপাড়া গ্রামে। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী তিনি। বিয়ের পর ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন স্বামী পাভেল শুরু হয় ইয়াসমিনের উপর নির্যাতন। এরই মাঝে জোরপূর্বক দু'বার তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়। কিন্তিু ইয়াসমিন নির্যাতন সইতে না পেরে গত বছরের ২৬ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গত ১মার্চ স্বামী পাভেলকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াসমিনের চাচা আনোয়ার ইসলাম মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। পরে এ ঘটনায় চাচার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন ইয়াসমিন। চাচার বিরুদ্ধে মামলা করায় গত ১০মার্চ ইয়াসমিনকে তার চাচা, চাচি ও চাচাতো বোন মিলে মারধর করে।

ইয়াসমিনকে মারধরের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তার ভাই মাহবুব আলম বাদী হয়ে আদালতে ফের আরেকটি মামলা করেন। বোনের ওপর অত্যাচারের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ইয়াসমিনের ভাই মাহবুব আলম। আদালত ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) ওই মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইয়াসমিন আক্তার বলেন, যৌতুক চেয়ে মারধর করা হতো। পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার পর আরও পাঁচ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। সংসারে টিকতে না পেরে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। মামলা তুলে নিতে চাচা ও অন্য স্বজনরা চাপ শুরু করেন। পরে তিনি আরেকটি মামলা করেন। সে কারণে তাকে প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, এঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।



 

Show all comments
  • Mohammad Sirajullah, M.D. ২৩ মার্চ, ২০২১, ৫:১১ এএম says : 0
    Chacha Should get more punishment than the husband. Husband followed usual Bangali custom of asking money from the bride's house for ever. My question is the parents knew this guy who is a cousin. Why did the parents or even the girl nconsented to this Marrtiager ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ময়মনসিংহ

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ