পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) ভবন আদমজী কোর্টে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে লাগা ওই আগুন দুই ঘন্টার চেষ্টায় বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভাতে গিয়ে ধোঁয়ায় ফায়ারকর্মী সাখাওয়াত হোসেন (২১) ও রাব্বি হাসান (২২) কে আহত হয়েছেন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে পাটকল করপোরেশন ভবনের সাততলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির সংকটে বেগ পেতে হয়েছিল ফায়ার এন্ড সিভিল সার্ভিসের কর্মীদের। এ কারণে নিজেদের রিজার্ভ পানি শেষ হয়ে গেলে সেখানে পাশে থাকা জনতা ব্যাংকের জনতা ফোয়ারা থেকে পানি নিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পানি সংকট না থাকলে আরও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন ভবনের সপ্তম তলায় একটি কাগজপত্রের একটি গোডাউন ছিল, সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। কয়েক দফায় মোট ১৩টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পাঠানো হয়। সর্বশেষ দুপুর বিকেল সাড়ে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি বলেন, সাততলায় কাগজপত্রের গুদাম থাকার কারণে আগুনে নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। আশপাশে বিকল্প পানির ব্যবস্থা না থাকার কারণে কিছুটা পানি সংকটে পড়তে হয় আমাদের। এ কারণে ভবনের পাশেই জনতা ব্যাংকের জনতা ফোয়ারা থেকে মোটর দিয়ে পানি নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আগুনের ঘটনা ঘটেছে একটি গোডাউনে যেখানে কাগজপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র হয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে আরও বেশকিছু সময় ক্ষেপণ করতে হবে। তারপরে আমরা বলতে পারব আগুনের সূত্রপাতের কারণ কি ছিল।
তিনি বলেন, আমরা আগুন লাগার খবরের পর থেকেই আগুন নেভানোর কাজেই ব্যস্ত রয়েছি। আগুন লাগার কারণ ঠিক কি ছিল তা জানি না। আমাদের ১৩টি ইউনিট কাজ করছে, জনবল আছে ১০০ এর বেশি। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণের পর আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ভবনটি যেহেতু পাটকল করপোরেশনের। তারাই বলতে পারবে গোডাউনটি কার বা কারা ব্যবহার করছিল। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কিনা বা হতাহতের কোনো তথ্য রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত হতাহত বা আটকা পড়ে থাকার কোনো তথ্য আমরা নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে আগুন নির্বাপিত হলে সার্চ করব কেউ হতাহত রয়েছেন কিনা। আগুন নিয়ন্ত্রণ হলেও প্রচুর ধোয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কাগজপত্র থাকায় আগুন দ্রুত লেগেছে, পানি দেয়ায় আগুন নিভেছে তবে ধোয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।