বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রমজানকে সামনে রেখে এবার শবে বরাতের অনেক আগেই নিত্যপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে দক্ষিণাঞ্চলের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে দুর্ভোগ চরমে। গত প্রায় ৪ মাস ধরে চালের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যেই ডাল, ভোজ্য তেল ও চিনির মূল্য বৃদ্ধিতে অনেক পরিবারই চলছে যথেষ্ট টানাপোড়েনে। এর সাথে রান্নার গ্যাসের দাম প্রায় ২৫ ভাগ বেড়ে এখন হাজার টাকার ওপরে। ফলে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। সামনের রমজানে কিভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে উৎকন্ঠা বাড়ছে। গত একমাসে দক্ষিণাঞ্চলের পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। আগের ৩ মাসেও কেজি প্রতি ৫ টাকা দাম বেড়েছে চালের। এখন নিম্ন-মধ্য মানের ‘বিআর-২৮’ বা ‘আঠাশ বালাম’ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৮ টাকা কেজি। আর মধ্যম মানের মিনিকেট চালের কেজি ইতোমধ্যে ৬৫ টাকায় উঠেছে। বিগত আমন মৌসুমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ছিলো না। বোরো ধান কৃষকের ঘরে ওঠা আসন্ন হলেও চালের বাজার কতটা নিম্নমুখী হবে তা বলতে পারছে না খাদ্য বিভাগ।
ভালো মানের সয়াবিন তেলের লিটার ১৩৫-১৪০ টাকা। চিনির কেজি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। খুচরা ৭২-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মুগ ডালের কেজি ১৩৫-১৪০ টাকা। মসুর ডাল ১১০-১২৫ টাকা কেজি। এদিকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামও ইতোমধ্যে ৪০ টাকা পৌঁছেছে। দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকার ওপরে। রসুন ও আদার দাম ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে রয়েছে। অপরদিকে গত দু’মাসে এলপি গ্যাসের দাম সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার প্রতি আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ টাকা বেড়ে এখন হাজার ৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবি আমদানিকৃত পেঁয়াজের বোঝা নিয়ে বিপাকে থাকলেও তাদের ভান্ডার চিনি, ডাল ও সয়াবিন তেল শূন্য হয়ে পড়ায় বিক্রি প্রায় বন্ধ। তবে গতকাল থেকে বরিশাল মহানগীতে ৫টি ও অন্য জেলা সদরে দু’টি করে ট্রাকে ভোজ্য তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি জেলার ১টি করে উপজেলাতেও টিসিবি এসব পণ্য বিক্রি করবে বলে জানা গেছে।
টিসিবির দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, রমজানের আগেই তারা পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল ও ছোলাবুট বিক্রি কার্যক্রম আরো জোরদার করবেন। এতে করে এসব নিত্যপণ্যের দাম রমজনে নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করছে টিসিবি।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির রেশ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরু ও খাসির গোসতের দামও কেজিপ্রতি বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। একই সাথে বেড়েছে মাছের দামও। তবে দু’মাসের জন্য সব ধরনের মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে মাছের সরবরাহও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ফলে দামও বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।