Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সামরিক শক্তিতে প্রথম চীন

দুশতাধিক চীনা জাহাজের উপস্থিতি দ. চীন সাগরে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে সামরিক শক্তির নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থান দখল করেছে চীন। এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে ভারত। সা¤প্রতিক এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে। রোববার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘মিলিটারি ডিরেক্ট’ ওই সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, প্রতিরক্ষা ও সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় স্থানে রাশিয়া। পঞ্চম স্থান দখল করেছে ফ্রান্স। ব্রিটেন রয়েছে নবম স্থানে। বাজেট বরাদ্দ, সক্রিয় এবং নিষ্ক্রিয় সেনাবাহিনী, আকাশ, নৌ ও স্থল সীমানা, পারমাণবিক সম্পদ, সেনাদের গড় বেতন, অস্ত্রশস্ত্রের মতো বিভিন্ন বিষয় নজরে রেখেই ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। ‘আল্টিমেট মিলিটারি স্ট্রেন্থ ইন্ডেক্স’ বা সামরিক শক্তি সূচক হিসেবে প্রত্যেকটি দেশকে ০ থেকে ১০০-এর মধ্যে নম্বর দেয়া হয়, যার ভিত্তিতেই তৈরি হয় ওই তালিকায়। ওই তালিকায় চীনের নম্বর ১০০-এর মধ্যে ৮২। আমেরিকার ৭৪ এবং ভারতের ৬১। রিপোর্ট জানাচ্ছে, প্রতি বছর সামরিক খাতে আমেরিকার ব্যয়ের পরিমাণ ৭৩ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। চীনের সামরিক খাতে বাজেট বরাদ্দ ২৬ হাজার ১০০ কোটি ডলার এবং ভারতের ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অপর এক খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে ২২০ টির মতো চীনা জাহাজের উপস্থিতি শনাক্ত করার দাবি করে এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ফিলিপাইন। শনিবার ফিলিপাইন সরকারের একটি টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গত ৭ মার্চ চীন সাগরের একটি দ্বীপ এলাকার কাছে চীনা নৌবাহিনীর সদস্যদের পরিচালিত ২২০টি জাহাজ শনাক্ত করেছে তারা। ফিলিপাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিওডোরো লোকসিন বলেছেন, আমার মতে পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীগুলোই ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। রোববার এ ব্যাপারে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি বলে রয়টার্স জানিয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের নিকটবর্তী দক্ষিণ চীন সাগরের আয়তন প্রায় ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটার। সিঙ্গাপুর থেকে মানাক্কা প্রণালী ঘুরে তাইওয়ান প্রণালী পর্যন্ত বিশাল এলাকা নিয়ে এর বিস্তৃতি। দক্ষিণ চীন সাগরের চারপাশ ঘিরে রয়েছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ফিলিপাইন। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বাণিজ্যিক জাহাজ এ সাগরের ওপর দিয়ে চলাচল করে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ সাগরের তলদেশে সঞ্চিত রয়েছে তেল ও গ্যাসের বিশাল ভান্ডার, তাই সাগরের মালিকানা নিয়ে উপক‚লীয় দেশগুলো বিশেষ করে চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের মধ্যে বিরোধ চলছে। অর্থনৈতিক স্বার্থেই এ অঞ্চলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তাদের লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক উত্থানকে প্রতিহত করা। কয়েক বছর ধরে তথাকথিত নাইন-ড্যাশ লাইনের অধীনে দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই দাবি করে আসছে চীন। এর অধীনে কয়েক বছরে তারা বিরোধপূর্ণ অন্তরীপে বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে। ওই অঞ্চল চীনের নয় বলে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক একটি আদালত। এ অঞ্চলের দাবিদার ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। ফিলিপাইন এ বিষয়ে দ্য হেগের আদালতে উত্থাপন করেছে এ বিষয়টি। এরপর ল’ অব দ্য সি বিষয়ক জাতিসংঘের কনভেনশনের অধীনে ৩৭০.৪ কিলোমিটারের মধ্যে (২০০ নটিক্যাল মাইল) ওই অঞ্চলের অধিকার পায় ফিলিপাইন। রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Harunur Rashid ২৩ মার্চ, ২০২১, ৫:১৩ এএম says : 0
    India in 4th place ? Must have smoke to much weed! LOL!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রথম চীন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ