নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : অপরাজিত থেকেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব শেষ করল বাংলাদেশের কিশোরীরা। ‘সি’ গ্রæপের শেষ ম্যাচেও বড় জয় তুলে নিল তারা। গতকাল সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৪-০ গোলে হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। বিজয়ীদের পক্ষে অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী দুটি এবং ফরোয়ার্ড অনুচিং মগিনি ও মিডফিল্ডার তহুরা একটি করে গোল করেন। ফলে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই টুর্নামেন্টের চ‚ড়ান্ত পর্বে জায়গা পেল লাল-সবুজরা।
নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবুও ছাড় দিতে নারাজ স্বাগতিকরা। কারণ অপরাজিত থেকেই যে চীনের টিকিট কাটতে চায় তারা, যেখানে ২০১৭ সালে টুর্নামেন্টের চ‚ড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। তাই কাল ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া দেখা গেছে লাল-সবুজের কিশোরীদের। তারা একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে আরব আমিরাতের রক্ষণভাগকে। ফলে শুরুতেই গোল পেয়ে যায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। ম্যাচের মাত্র তিন মিনিটে মার্জিয়ার কর্নার থেকে আসা বলে অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী দৃষ্টিনন্দন হেড থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন (১-০)। ৩৬ মিনিটে নিশ্চিত গোলের লক্ষ্যে আমিরাতের বক্সে ঢুকে পড়েন কৃষ্ণা। সেখানে তাকে ফাউল করেন আমিরাতের মিডফিল্ডার মরিয়ম। ফলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন শামসুন্নাহার। তার শট বাইরে চলে যায়। এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধে যেন গোলক্ষুধা বেড়ে যায় বাংলাদেশের। এই অর্ধে রক্ষণভাগ থেকে শুরু করে মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগে কৃষ্ণাদের দাপট ছিল দেখার মতো। ম্যাচের ৫২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় স্বাগতিকরা। এ সময় সানজিদার কর্নার থেকে আসা রংধনু শটটি কৃষ্ণা নিখুঁত হেডে ব্যবধান বাড়ান (২-০)। সাত মিনিট পর তৃতীয় গোল করেন অনুচিং মগিনি। ৫৯ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে প্লেসিং শটে গোল করে তিনি স্কোর লাইন ৩-০ তে নিয়ে আসেন। এরপর আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখলেও চতুর্থ গোল পেতে কিছুটা সময় লাগে বাংলাদেশের। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে মনিকার ক্রস থেকে তহুরার হেড আরব আমিরাতের জালে জড়ালে বড় জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিক দলের (৪-০)। এছাড়া দুটি গোল অফসাইড না হলে জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতে পারত লাল-সবুজদের।
বাছাই পর্ব শেষ। এবার মনোযোগী হওয়ার পালা চ‚ড়ান্ত পর্ব নিয়ে। ম্যাচ শেষে সে কথাই জানালেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের ভাবনায় কেবল চ‚ড়ান্ত পর্ব। চীনে অনুষ্ঠিতব্য ওই পর্বের জন্য এখনই আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতে হবে।’ ছোটন যোগ করেন, ‘আসন্ন সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে সিনিয়র দলের সঙ্গে এই মেয়েরাও ট্রায়াল দেবে। আমার বিশ্বাস এই দলের অনেক মেয়েই জাতীয় দলে সুযোগ করে নিতে পারবে।’
আমিরাতের সিরীয় কোচ আজম ঘটক তো এই দলটিকেই বাংলাদশের ভবিষ্যৎ জাতীয় মহিলা দল হিসেবেই স্বীকৃতি দিলেন। তিনি বলেন, ‘দুর্দান্ত খেলেছে বাংলাদেশ। এটাই হতে পারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মহিলা জাতীয় দল। যারা দাপিয়ে বেড়াবে মাঠে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।