পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে নেতারা এ আহ্বান জানান।
জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতা রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শেখ শহিদুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ডা. শাহাদাৎ হোসেন, জাকির হোসেন, মোসাহেদ আহমেদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, শাল্লার ঘটনা অনভিপ্রেত। বিশেষ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সা¤প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মোদি প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসছেন। এটা ভিন্নখাতে নেয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু সরকার তাকে আমন্ত্রণ করেছে, সরকারের উচিত এর বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতা প্রতিহত করা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলার সংস্কৃতি ও ধারা থেকে আমরা পিছিয়ে গেছি। বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শ অনুযায়ী সে ধারায় চলতে হবে। শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে সে ধারায় দেখি না। তিনি বলেন, শাল্লায় সাম্প্রদায়িকতার ঘটনাকে স্থানীয় বিরোধ হিসেবে সামনে আনা হচ্ছে। উল্টো মাছে কোষ ধাওয়াচ্ছে। আমি জানি না, অলিখিত হুকুম দেয়া আছে কি-না যে, হেফাজতের নাম বলা যাবে না? হেফাজত নেতা মামুনুল হক বলে বেড়াচ্ছে মোদি আসলে জুতাপেটা করা হবে। পুলিশ বলেছিল, প্রকাশ্যে সভা করতে পারবেন না। অথচ তারা সারা দেশে নির্বিঘেœ সভা-সমাবেশ-বক্তৃতা করছে।
জাতীয় পার্টি- জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নতুন মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে। বঙ্গবন্ধু যে লড়াই করেছেন একটি স্বাধীন দেশে ও একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে। দেশ স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম চলমান। এই সংগ্রামে অংশ নিয়ে নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ আছে।
১৪ দলের নেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা শুধু মুখে বললে হবে না, তার আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।