Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক বন দিবস আজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

বন পুনরুদ্ধার উত্তরণ ও কল্যাণের পথ এই প্রতিপাদ্যে আজ পালিত হবে আন্তর্জাতিক বন দিবস। বন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে প্রতি বছরের ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

করোনামহামারীর মধ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে কিছু কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হবে। এবার আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে বন অধিদফতরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমদ শামীম আল রাজী। অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা দেশের মোট আয়তনের প্রায় ১৫.৫৮ শতাংশ। এর মধ্যে বন অধিদফতর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ১৬ লাখ হেক্টর, যা দেশের আয়তনের প্রায় ১০.৭৪ শতাংশ। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দেশের মোট আয়তনের ২২ দশমিক৩৭ শতাংশএ উন্নীত হয়েছে।

যা ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশের বেশি উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়ে ইতোমধ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিল্পায়ন, কৃষিভূমি সম্প্রসারণ, আবাসন প্রভৃতি নানা কারণে সংকুচিত হচ্ছে বনাঞ্চল। ফলে দেশের বন ও বন্যপ্রাণী আজ হুমকির সম্মুখীন।
সারা দেশে বনভ‚মির অবৈধভাবে দখলের প্রবণতা দেখা যায়। দেশের সংরক্ষিত বনভূমির ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ হেক্টর জবরদখল হয়ে গেছে। অবৈধ জবরদখল উচ্ছেদের মাধ্যমে বনভূমি পুনরুদ্ধার ও তা সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে এবং ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অবৈধ দখলে থাকা বনভূমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সরকার এ বিশেষ কার্যক্রমে সফল হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

বর্তমান সরকার সুন্দরবন সংরক্ষণে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে সুন্দরবনের বৃক্ষ সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৯ সালে প্রকাশিত জাতীয় বন জরিপের তথ্যমতে সুন্দরবনে মোট কার্বন মজুদের পরিমাণ ১৩৯ মিলিয়ন টন, যেখানে ২০০৯ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে এর পরিমাণ ছিল ১০৭ মিলিয়ন টন। এছাড়া বন সেক্টরে কার্বন নির্গমন হ্রাস করার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক উদ্যোগে সামিল হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া মাত্রই দ্রুত সাড়া দেয়া সম্ভব হচ্ছে। স্মার্ট পেট্রোলিং এর আওতায় জিপিএস এর পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহারের কার্যক্রমও ইতোমধ্যেই হাতে নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতেÍ দাঁড়িয়ে টেকসই পরিবেশ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, দৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত নির্মাণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী নির্মাণ ও মানবজাতির কল্যাণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্তর্জাতিক বন দিবস আজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ