বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, আমি পাঁচ মাসে ৩৭টি উপজেলার ৯৭টি নদী ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেছি। যেখানেই ভাঙন দেখছি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। নদী ভাঙন নিয়ে আপনাদের চিন্তা করতে হবে না, যেটা প্রয়োজন আমরা করে দিবো। প্রতিমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার সকালে ঝালকাঠির নদী ভাঙন ও খাল খনন কার্যক্রমের পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।
কাজের প্রতি মন থাকলে একদিন লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় মন্তব্য করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আমি নদী ভাঙন এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করছি। বাংলাদেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছি। যখন দেখি নদী ভাঙনে নিঃস্ব ব্যক্তিরা ঢাকায় রিকশা চালায়, তাদের দেখে খুব দুঃখ লাগে। অনেক স্বাবলম্বী পরিবার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছে। তাই নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব এলাকায় কাজ শুরু হচ্ছে।
খাল খননের কাজে কোথাও অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি কৃষকের সুবিধার্থে খাল খনন প্রয়োজন। দেশের মানুষ যাতে সব মৌসুমে পানি পায় সেজন্য খাল খনন করা হচ্ছে। তাই যেসব এলাকায় খাল খননের কাজ চলছে, তা সঠিকভাবে করতে হবে।
বর্তমান সরকারের দশ বছরের উন্নয়নে দেশের চেহারা পাল্টে গেছে দাবি করে জাহিদ ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষের কথা চিন্তা করেন। গ্রামকে শহরে রূপান্তরের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, সারাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেতাকর্মীদের মন পরিস্কার রাখতে হবে। সৎভাবে মানুষের জন্য কাজ করলে সফলতা আসবেই।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝালকাঠির নবগ্রাম বাজার, বিনয়কাঠি কলেজ, করাপুর স্টীলব্রীজ, সুগন্ধা নদীর মোহনা, গগণ হাট, বাউকাঠি বাজার, ভীমরুলী বাজার, গাবখান সেতু হয়ে শেখেরহাট বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার খাল খনন ও নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি ঝালকাঠির নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদরাসা পরিদর্শন শেষে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা দেখতে যান।
পরে তিনি দক্ষিণাঞ্চলের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুরের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. জুলফিককার হাওলাদার, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. শফী উদ্দিন, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম এম মাহামুদ হাসান, ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আতাউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন রিজভী।
পরে প্রতিমন্ত্রী ঝালকাঠি সার্কিট হাউসে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। সেখানেও তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।