গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরীর নামাজের জানাজা বনানী সামরিক করব স্থানের পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার শেষে বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিএনপি’র পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ছিলেন- ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কর্ণেল (অবঃ) জয়নাল আবেদিন, এডভোকেট সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মেজর হানিফ, মেজর সারোয়ার, শায়রুল কবির খান, হাসান বিন শফিক সোহাগ, একমাত্র মেয়ের জামাতা এ কে এম মহিউদ্দিন প্রমূখ। এর পর মরহুম রুহুল আলম চৌধুরীর লাশ বনানী সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ফরিদপুর বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক ছিলেন।
স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি’র আহবায়ক ও সদস্য স্থায়ী কমিটি বিএনপি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি সদস্য সচিব ও সদস্য চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল বিএনপি আব্দুস সালাম শোক জানিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (২০ মার্চ) সকাল ১১.১৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি বলেন, মরহুম রুহুল আলম চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানা যায়, রুহুল আলম চৌধুরী ১৯৪৭ সালের ২৪ আগস্ট কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা গ্রামের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রুহুল আলম ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সামরিক একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে আর্মার্ড কোরে যোগদান করেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মড কোরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও এ কোরের প্রথম পরিচালক।
এছাড়া তিনি কর্মরত থাকা অবস্থায় মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স ছিলেন। এরপূর্বে তিনি বিভিন্ন সময় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর, বিডিআর, মায়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠিত হলে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০০৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।