মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : অভিভাসন নীতির কারণে জার্মানিতে প্রদেশিক নির্বাচনে অভিবাসন ও মুসলিমবিরোধীদের কাছে হারলেন অ্যাঙ্গেলা মারকেল। জার্মানির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অ্যাঙ্গেলা মারকেলের নেতৃত্বাধীন জার্মানির ক্ষমতাসীন দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নকে (সিডিইউ) হারিয়ে দিয়েছে অভিবাসন ও মুসলিমবিরোধী দল অল্টারনেটিভ ফিউয়ের ডাচল্যান্ড (এএফডি)। প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে মার্কেলের দলটির অবস্থান তৃতীয় স্থানে। মাত্র ১৯ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে তার দল, যা প্রদেশটিতে মারকেলের দলটির সবচেয়ে বড় ভরাডুবি। বরবরই অভিবাসীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া এএফডি সমর্থন পেয়েছে ২১ শতাংশ ভোটারের। নির্বাচনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি। মোট ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে দলটি। এর ফলে অনেকেই মনে করছেন, জার্মানিতে শরণার্থী ইস্যুটি রাজনৈতিক ইস্যু হিসাবে বিবেচনা করার প্রবণতা বাড়ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, উদার অভিবাসন নীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের দল এবং তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে। এর ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মারকেলের দলের ভরাডুবির আশঙ্কা ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে এবং একইসাথে তার চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনাও ফিকে হয়ে আসছে। গত রোববার দেশটি উত্তর-পূর্ব মেকলেনবার্গে একটি প্রদেশিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে আশঙ্কাজনভাবে হেরে গিয়ে এমন আশঙ্কার প্রমাণ দিয়েছে তার দল। মারকেলের ক্ষমতাসীন দল খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাট (সিডিইউ) ইউনিয়ন। নির্বাচনে তার দল নেমে যায় তৃতীয় অবস্থানে। প্রাদেশিক নির্বাচনে মধ্য বামপন্থি সোশাল ডেমোক্র্যাট (এসপিডি) পার্টি এবং অভিবাসনবিরোধী এএফডি পার্টির কাছে হেরে গেছে ক্ষমতাসীনরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে আসা শরণার্থীদের জার্মানিতে এখনো বড় একটি রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একইসাথে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে অ্যাঙ্গেলা মারকেলকে। এখন থেকে এক বছর আগে জার্মানিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। এরপর থেকে নিরাপত্তা, সামাজিক মূল্যবোধের ওপর শরণার্থীদের প্রভাব নিয়ে মারকেলের বিরোধীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকটা রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে। কারণ আগে যারা শরণার্থীদের জার্মানিতে আগমনকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলেন এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে। তবে বিগত বছরটি অধিকাংশ জার্মানরা কখনোই ভুলবে না।
আগামী বছর একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে, আর মারকেলের রক্ষণশীল দল খুব দ্রুতই অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থী দলের কাছে ভোটে হারাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সমর্থন ধরে রাখার জন্য মারকেলকে জার্মানদের কাছে অন্তত দুটো বিষয় প্রমাণ করতে হবে। একটি হচ্ছে, তিনি দীর্ঘমেয়াদে শরণার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং দ্বিতীয়ত, তিনি জার্মানিকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।
অ্যাঙ্গেলা মারকেল সবসময় অভিবাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত। তার মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে অবশ্যই মুসলিম শরণার্থীদের জায়গা দিতে হবে। না হলে তা বিশ্বে বড় সংকটের সৃষ্টি করবে। মারকেল নিজেও ২০১৬ সালের মধ্যে জার্মানিতে তিন লাখ অভিবাসীকে আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে জার্মানিতে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এ নির্বাচনটিকে তার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। রয়টার্স, বিবিসি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।