মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান এবং রাখাইন রাজ্যের ধর্মীয় সংঘাত নিরসনে গঠিত তার নেতৃত্বাধীন শান্তি কমিশন মিয়ানমারের মানুষের ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনের পাশাপাশি রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার কফি আনান এবং তার কমিশনের সদস্যরা রাখাইন এলাকা পরিদর্শন শুরু করবেন। এসময় তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং ধর্মীয় গ্রুপগুলোর নেতাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। কিন্তু ওই রাজ্যের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম সংগঠন বৃহত্তম আরাকান ন্যাশনাল পার্টি এই কমিশনের সাথে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে। সংঘাতময় রাখাইন রাজ্যের শান্তি ও উন্নয়নের নতুন প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন অং সান সুচি। মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় অনলাইনে এক ঘোষণায় বলেছে, ‘রাখাইন রাজ্যে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নে একটি নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্টেট কাউন্সিলর সুচি এ কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।’ ২০১২ সালে রাখাইন রাজ্যের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবন-যাপনে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। সু চির নেতৃত্বাধীন ২৭ সদস্যের ওই কমিটিতে সব মন্ত্রীরা থাকবেন। গত সোমবার এই কমিটি গঠন করা হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। কমিটিতে যারা আছেন তাদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। সীমান্তবিষয়ক মন্ত্রীকে কমিটির কমান্ডার-ইন-চিফ করা হয়েছে। তবে কমিটি কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। পরিসি’তি পর্যবেক্ষণে শিগগিরই একটি দল রাখাইন রাজ্যে যাবে বলে জানিয়েছেন স্টেট কাউন্সিল কার্যালয়ের মুখপাত্র জাউই হিতাই। তবে দলটি কবে নাগাদ সেখানে যাবে বা দলের সঙ্গে সুচি থাকবেন কিনাÑসে বিষয়ে কিছু জানাননি হিতাই। নভেম্বরের নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য রাখাইন রাজ্যে গেলেও রাজ্যের রাজধানী সিত্তাউইতে যাননি সুচি। এমনকি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর গৃহহীন রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় শিবিরেও কখনও যাননি তিনি। এপি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।