গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবিতে সমমনা ইসলামী দলসমূহ আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনের মুখপাত্র মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে সমমনা ইসলামী দলসমূহের নেতৃবৃন্দ বলেন, মোদির সফর বাতিলের দাবিতে শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী পালন করা হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের আগমন নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের ভাবমর্যাদাকে উজ্জ্বল করবে। বাংলাদেশের জনগণ এসব রাষ্ট্রীয় অতিথিদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাবে। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশের জনগণ স্বাগত জানাতে পারে না। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত এবং কাশ্মীর-দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা ও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের খলনায়ক হচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। তারা বলেন, ভারত বছরের পর বছর ধরে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীসমূহের পানি প্রবাহ শুষ্ক মৌসুমে প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। সীমান্তে বাংলাদেশী জনগণকে লাগাতার পাখির মতো গুলি করে হত্যা করছে। বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অসম বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থনৈতিক শোষণ চালাচ্ছে। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদের প্রসার ঘটিয়ে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এছাড়া কাশ্মীর ও দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা চালিয়েছে। ভারতীয় বাংলা ভাষাবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করে তাদেরকে বাংলাদেশে পুশইনের মাধ্যমে গোট উপমহাদেশ ব্যাপী চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বার বার নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। কাশ্মীর গুজরাটসহ ভারতীয় মুসলমানদের রক্তে বার বার রঞ্জিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর হাত। সুতরাং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ কোনভাবেই স্বাগত জানাতে পারে না। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচি মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মাওলানা আতিকুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী ও মহাসচিব মাওলানা মোস্তফা তারেক আল হাসান, খেলাফত আন্দোলন এর নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী এবং ফরায়েজী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহ মো. হাসান ও মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।