Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘ভ্যাকসিন নিয়েই আত্মতৃপ্তিতে ভুগলে চলবে না’

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ইনকিলাবকে প্রখ্যাত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম এ ফয়েজ

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০২১, ২:৪১ পিএম | আপডেট : ২:৪৩ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২১

করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হওয়ায় মানুষের মধ্যে আত্মসন্তুষ্টি আত্মতৃপ্তির ভাব চলে এসেছে। সংক্রমণরোধে নিয়মমাফিক মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, শারীরিক বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিদেশ ফেরত ও আক্রান্তদের কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন বা বিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করা ইত্যাদি জরুরি করণীয় ও পালনীয় স্বাস্থ্যবিধি তেমন অনুসরণ করা হচ্ছে না। গ্রামে-গঞ্জে দেখছি আরও বেপরোয়া ভাব। সকলেরই মনে রাখা উচিত- ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাস মহামারীরোধের অন্যতম উপায়, একমাত্র উপায় নয়’।
ইদানীং করোনা সংক্রমণ হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন এবং নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. এম এ ফয়েজ (পিএইচডি) আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দৈনিক ইনকিলাবের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাতকারে উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার ফেলো এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এম এ ফয়েজ এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সুবিধা ও নিয়ম অনুযায়ী করোনারোধে ভ্যাকসিন বা টিকা অবশ্যই নেবেন। এর পাশাপাশি যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন এবং এখনও যারা নেননি তাদের সবারই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা আবশ্যক।
ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আরও কিছুদিন পরই দেহে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা তৈরি হয়। নিরাপদ থাকতে হলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। একবার কোভিড আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলে শরীরে ‘অ্যান্টি বডি’ হয়ে গেল- তাও নিশ্চিত ভাবার কারণ নেই।
তিনি মনে করেন, শুধুই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিংবা সরকারের একার পক্ষে করোনা সংক্রমণরোধ সম্ভব নয়। এরজন্য এলাকা-পাড়াওয়ারি গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নতুবা একজনের অবহেলা ও অনীহার কারণে আরেকজনের সংক্রমণ এবং ভোগান্তি, বিপদ তৈরি হতেই থাকবে’।
ইদানীং নতুন ধরণ (স্ট্রেইন) নিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রবীণ এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জানান, ভাইরাস পরিবর্তনশীল। সূক্ষœ থেকে সূক্ষèতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তির (আইটি) ব্যবহার করে করোনা ভাইরাসের পরির্তনশীলতার ওপর নজরদারি বা সার্ভেল্যান্স অব্যাহত রাখতে হবে। সূক্ষè পরীক্ষায় এর জেনম সিকোয়েন্স, জিন বিশ্লেষণ করতে হবে। এটি একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া।
এভাবে দেখতে হবে ভাইরাসটি (নতুন ধরণ নিয়ে) যুক্তরাজ্য, আফ্রিকা, ব্রাজিল কিংবা সম্ভাব্য অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে এলো কিনা, সংক্রমিত হয়েছে কিনা।
তিনি উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণরোধে সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও রূপরেখা রয়েছে। তবে সেগুলো নিছক কাগজে-কলমে লেখা থাকলেই তো হবে না। করোনা ভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে এরজন্য সরকারি, সামাজিক, ব্যক্তি, পরিবারসহ সকল পর্যায়ে সমন্বয় শক্তিশালী করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে। তা এখনই জোরদার করার কোনো বিকল্প নেই। (বিস্তারিত আসছে...)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ