পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে ফেসবুকে অশালীন স্ট্যাটাসের জেরে শাল্লায় হিন্দুদের বাড়ি-ঘর ও মন্দির ভাঙচুর করেছে স্থানীয় জনতা ও মামুনুল হকের অনুসারীরা। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে কেউ হতাহত হননি বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গুপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুমন দাস আপন (২৪) হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলাম ধর্মীয় বিষয়ে গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশালীন স্ট্যাটাস দেন। পরে ওই রাতেই স্থানীয় জনতা উপজেলার শাসকাই বাজারে ঝুমন দাস আপনকে আটক করে পুলিশে দেয়। স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে স্থানীয় জনতা ও মামুনুল হকের অনুসারীরা। খবর পেয়ে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির এবং ওসি মো. নাজমুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন।
খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়া ঝুমন দাস আপনকে রাতেই আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।