মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
স¤প্রতি বিশ্বে যমজ শিশু জন্মের হার বাড়ছে। বিশ্বে প্রতি বছর ১৬ লাখ যমজ শিশু জন্ম নেয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি ৪০টি শিশু জন্মের মাঝে একটি যমজ শিশু জন্ম নেয়। গবেষণার পর দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে বিশ্বে যমজ শিশুর জন্মের হার বেশি এবং এটাই সর্বকালের মধ্যে সর্বাধিক। এছাড়া গবেষণায় আরও দেখা গেছে, আফ্রিকা মহাদেশে যমজ শিশুর হার সবচেয়ে বেশি। জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনটিতে নাইজেরিয়ায় যমজ শিশুর জন্ম নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নাইজেরিয়ায় যমজ শিশুদের রাজধানী রয়েছে। দেশটির ওইয়ো রাজ্যের ইগবো ওরা শহরে পর্যটকরা চলার সময় পথে পথে একটি ব্যানারের দেখা পান। ব্যানারের মূল কথা, বিশ্বের যমজ শিশুদের রাজধানীতে স্বাগতম। শহরটিতে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর এর প্রমাণও পাওয়া যায়। সেখানে প্রচুর যমজ মানুষ পাওয়া যায়। ১৯৭০ সালের দিকে এক ব্রিটিশ গাইনি বিশেষজ্ঞের গবেষণা অনুযায়ী অঞ্চলটিতে প্রতি হাজারে ৫০টি যমজ জন্মের হার। এই হার বিশ্বের অন্যান্য দেশ বা অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বেশি। যমজ শিশুদের নামের ক্ষেত্রে মিল রাখা হয়। একই নাম রাখা হয়। শুধু নামের শুরুতে তাইয়ু এবং পরে কেহিন্দে বলা হয়। এ দিয়ে বুঝানো হয় কে আগে এবং কে পরে জন্ম নিয়েছে। ইগবো ওরা শহরেই যমজ সন্তান জন্মের হার বেশি। আবার এর মধ্যে ইয়োরুবা স¤প্রদায়ের মানুষ এগিয়ে রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের এসেম্বলিতে ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ যমজের দেখা পেয়েছে। যমজ জন্মের কারণ হিসেবে স্থানীয়দের বিশ্বাস ওকরা পাতা খাওয়ার অভ্যাসের জন্য তারা এত যমজ শিশুর জন্ম দিয়ে থাকেন। ইগবো ওরার মানুষদের ওকরা পাতা পানিতে সেদ্ধ করে খাওয়া খুবই প্রিয়। তবে এই বিশ্বাস সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কারো কারো ধারণা আমালা নামের আরেক খাবারের জন্য যমজ শিশু হয়ে থাকে। লাল আলু ও কাসাভা থেকে তৈরি আটা দিয়ে এই খাবার তৈরি করা হয়। তাদের ব্যাখ্যা এই খাবার বিশেষ হরমোন তৈরি করে। যা-কিনা ডিম্বাণুর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নাইজেরিয়ার রাজধানী রাগোসের এক গাইনি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, লাল আলুর বিষয়টি সঠিক নয়। সম্ভবত নিজেদের মধ্যে বিবাহ ও জিনগত ঐতিহ্যের জন্যই এখানকার নারীদের যমজ শিশু জন্মদানের প্রবণতার হার বেশি। তবে স্থানীয়রা চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্বাসী নয়। তাদের বিশ্বাস ওকরা পাতা খাওয়ার জন্যই যমজ শিশু হয়। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।