Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেরুজালেমে মুসলিম দেশ হিসেবে প্রথম দূতাবাস খুলল কসোভা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২১, ৩:৪৪ পিএম

দখলদার ইসরাইলের রাজধানী জেরুজালেমে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের দূতাবাস চালু করেছে ইউরোপীয় দেশ কসোভো। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও গুয়াতেমালার পর তৃতীয় ও প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে এই শহরে নিজেদের দূতাবাস খুলেছে দেশটি। গতকাল রোববার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে কসোভোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দূতাবাস খোলা হয়েছে। এই সময় জেরুসালেমে দূতাবাস ভবনের সামনে কসোভোর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
কসোভোকে ইসরাইলের স্বীকৃতির বিনিময়েই জেরুসালেমে নিজেদের দূতাবাস খুললো দেশটি। এই স্বীকৃতিকে কসোভো তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিজয় বলে মনে করছে। ১৯৯০-এর দশকে সার্বিয়ার সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ২০০৮ সালে কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রিস্টিনা।
সার্বিয়া তার সাবেক প্রদেশটির স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করলেও কসোভো বেশির ভাগ পশ্চিমা দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। অপরদিকে সার্বিয়ার মিত্র রাশিয়া ও চীন কসোভোর স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ দু’টি ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে কসোভোকে সংস্থাটির সদস্য হতে বাধা দিচ্ছে।
জাতিসঙ্ঘে সদস্যপদ প্রাপ্তিতে গত মাসেও কসোভোর বিরোধিতা করে এসেছে ইসরাইল। তবে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই চিত্রের পরিবর্তন হয়েছে।
এর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক মতামত উপেক্ষা করে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত নীতি অনুসরণ করলো কসোভো।
কসোভোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে বলেছে, এই দূতাবাস উদ্বোধনের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেয়া অঙ্গীকার পূরণ করেছেন তারা।
তুরস্কের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলোই শুধু নয়, ইউরোপেও কসোভোর এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে। এর মধ্যেই প্যালেস্টিনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেছেন, জেরুসালেমে কসোভোর দূতাবাস উদ্বোধন জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবের সাথে সাংঘর্ষিক। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের দাবিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিন অধীকৃত পূর্ব জেরুসালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। ইসরাইলের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক থাকা বেশিরভাগ দেশের দূতাবাস দেশটির সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে অবস্থিত। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুসালেম দখল করার পর পুরো শহরটিকে ইসরাইল একীভূত করে নিয়ে নিজেদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে।
ট্রাম্প সমর্থিত চুক্তি অনুসারে ইসরাইল কসোভোর সাথে তার এ নতুন সম্পর্ককে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার একটি অংশ বলে মনে করছে। সূত্র : মিডল ইস্ট আই



 

Show all comments
  • Jack+Ali ১৫ মার্চ, ২০২১, ৫:৩৯ পিএম says : 0
    Cosovo you have committed a heinous crime against Allah.. You will suffer.
    Total Reply(0) Reply
  • MD Akkas ১৫ মার্চ, ২০২১, ৭:৫৪ পিএম says : 0
    কসোভোকে এই প্রতিদান দিতে হবে। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে মুসলমানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ