পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিলকে নির্যাতনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ডে ভেতর কেউ অপরাধ করলে আইনজীবী সমিতিকে জানাতে পারত। প্রধান বিচারপতিকে জানাতে পারত। কারণ ইব্রাহিম খলিল তো চোর না, ডাকাত না, বাড়ি থেকেও তাকে গ্রেফতার করা যেত। তা না করে কোর্ট আঙিনা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এটি বেআইনি এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ, ক্ষমার অযোগ্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে মতিন খসরু বলেন- আমি বলে দিতে চাই, জড়িতদের শনাক্ত করুন। বরখাস্ত করে বিচারের আওতায় আনুন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে তাদের থাকার কোনো অধিকার নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই আইন অনুযায়ী কাজ করবে। উল্টো তারা যদি বেআইনি কাজ করে, তাহলে অন্যরা কি করবে? আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভালো করে চিনি। আমি তার সঙ্গে কথা বলব। কয়েকজন সদস্যের জন্য পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে না।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বারের নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, আমাদের টাকায় বেতনভাতা খেয়ে আবার আমাদের পেটাবেন তা হতে পারে না।
আজকের (রোববার) মধ্যে জড়িতদের বরখাস্ত করুন। না হলে আইনজীবীরা ফুঁসে উঠলে কেউ রক্ষা পাবে না। এ ব্যাপারে সারা দেশের আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ।
প্রতিবাদ সভায় বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, সফিক উল্লাহ, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
প্রসঙ্গত : গত ১০ মার্চ অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম খলিলকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে তুলে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে তাকে আটকে রেখে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।