Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ছদ্মবেশী রকেট উৎক্ষেপণ উ. কোরিয়ার

প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলোর তীব্র হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গতকাল রোববার একটি দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। সমালোচকরা এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির পরীক্ষা হিসেবে বর্ণনা করছেন। এ ঘটনায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের জরুরি সভা আহ্বান করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের এ রকেট উৎক্ষেপণকে ছদ্মবেশী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, এমনকি উত্তর কোরিয়ার মিত্র চীনও তথাকথিত ওই মহাকাশ প্রকল্পের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার এই রকেট উৎক্ষেপণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার লঙ্ঘন এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। গতকাল রোববার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, তারা পৃথিবীর কক্ষপথে সফলভাবে একটি স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে। ধারণা করা হয়, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঘাঁটি থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এটি জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যায় বলে জানা গেছে। পিয়ংইয়ং জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আগেই জানিয়েছিল যে, তারা কক্ষপথে একটি আর্থ অজারভেশন স্যাটেলাইট স্থাপন করতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই রকেট উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে উত্তর কোরিয়া জোর দিয়ে বলেছে, এটি তাদের মহাকাশ বিষয়ক কর্মকা- যা পুরোপুরিই বৈজ্ঞানিক গবেষণা। তবে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া এবং এমনকি মিত্রদেশ চীনও বলছে, একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেই পিয়ংইয়ং এসব রকেট উৎক্ষেপণ করছে এবং এ প্রযুক্তির উন্নতি করার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রেও হামলা চালাতে পারবে। এর আগে গত ছয় জানুয়ারি একটি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়ে বছরের শুরু থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। কয়েক দিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা উত্তর কোরিয়ার এই উৎক্ষেপণের সম্ভাবনা ব্যক্ত করেছিল। দেশটির সাবেক নেতা কিম জং ইলের জন্মদিনের প্রাক্কালে ১৬ ফেব্রুয়ারি নাগাদ তারা ওই পরীক্ষা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিল সিউল।
খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া সরকার পৃথিবীর কক্ষপথে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর জন্য ওই রকেট উৎক্ষেপণের কথা আগেই জাতিসংঘকে জানিয়ে রাখলেও পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, উত্তর কোরিয়া আসলে নিষিদ্ধ ব্যালাস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে। গতকাল রোববার উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ঘাঁটি থেকে উৎক্ষেপণের পর রকেটটি জাপানের দক্ষিণ অংশের ওকিনাওয়া দ্বীপের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার এই কর্মসূচির সমালোচনায় বলে আসছে, পিয়ংইয়ং গোপনে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির চেষ্টায় আছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখ-ে আঘাত হানতে পারবে। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয় উত্তর কোরিয়া। যদিও উত্তর কোরিয়া দাবি করে আসছে, তাদের এই প্রকল্প পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম অথবা যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, ইউএসএ টুডে।



 

Show all comments
  • Mannan Arabian ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:৪০ এএম says : 0
    বেটার শাহস আছে বটে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ছদ্মবেশী রকেট উৎক্ষেপণ উ. কোরিয়ার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ