Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটেনে ব্রেক্সিট-বিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্রিটেন ইইউ ছাড়ার পক্ষ নিলেও তা স্কটল্যান্ডের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইইউ’র সঙ্গে থাকতে প্রয়োজনে স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করতে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনেরও ঘোষণা দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন। ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্নতার দাবি উঠেছে লন্ডনেও। মেয়র সাদিক খানের কাছে জমা পড়েছে এক লাখ মানুষের স্বাক্ষরিত এক স্বাধীনতার দাবি


ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে আমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে আত্মহত্যা করা হবে

ইনকিলাব ডেস্ক : রাজধানী লন্ডনসহ ব্রিটেনের কয়েকটি শহরে হাজার হাজার মানুষ ব্রেক্সিটবিরোধী বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভের নাম দেয়া হয় ‘মার্চ ফর ইউরোপ’। বিক্ষোভকারীরা ইইউ’তে থাকার পক্ষে জোরালো স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, দয়া করে ব্রেক্সিট নয়, আমরা ব্রিটেনকে ভালোবাসি। আমরা ৪৮ শতাংশ, আমরা সবসময়ই ইইউকে ভালোবাসি এবং ইইউর ভেতরে আমরা অন্তর্ভুক্ত থাকতে চাই। বিজ্ঞানের ইইউকে দরকার ইত্যাদি স্লোগান লেখা হয় প্ল্যাকার্ডে। গত শনিবার লন্ডনের পার্ক লেনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে দশ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। তারা বলেন, ব্রেক্সিট হলে আমাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে আত্মহত্যা করা হবে। গত ২৩ জুন গণভোটে ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয় ৫২ শতাংশ মানুষ। বিপক্ষে পড়ে ৪৮ শতাংশ ভোট।
ব্রেক্সিট-বিরোধী এক্সিট ইস্যুতে তীব্র বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে রাজধানী লন্ডন ছাড়াও স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায়। এছাড়া ব্রিটেনের আরো কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। রাস্তায় নেমে এসেছেন ব্রেক্সিট বা ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার বিরোধীরা। বিক্ষোভকারীরা ইয়েস টু ইইউ ও বিভিন্ন ব্রেক্সিটবিরোধী স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড এবং ইইউ-র পতাকা নিয়ে লন্ডন এবং এডিনবরার রাস্তায় নেমে ব্রেক্সিটের প্রতিবাদ জানায়। তারা ব্রেক্সিটের জন্য বয়োজ্যেষ্ঠদের দায়ী করেন। এই বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, জুনে গণভোটে সামগ্রিক জনতার রায় লিভ পক্ষে গেলেও লন্ডন বা স্কটল্যান্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার রিমেইন পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই থাকতে চান। যেহেতু গণভোটে জয়-পরাজয়ের পার্থক্য ২০ শতাংশের কম, এমনকি ৪ শতাংশেরও কম। আবার সর্বমোট ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশের কম। তাই বিক্ষোভকারীরা নতুন করে গণভোট অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন। লন্ডনে বিক্ষোভকারীরা প্রায় ১৫ লাখ মানুষের স্বাক্ষরসহ পুনরায় গণভোটের জন্য একটি পিটিশন করেছেন। তবে ওই পিটিশনে স্বাক্ষরকারীদের বেশিরভাগই উত্তর লন্ডন, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ এমন সব অঞ্চলের, যেখানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি।
প্রসঙ্গত, স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজিওন বলেছেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পক্ষ নিলেও তা স্কটল্যান্ডের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। ইইউ-র সঙ্গে থাকতে প্রয়োজনে স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করতে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনেরও ঘোষণা দেন তিনি। আবার ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্নতার দাবি উঠেছে লন্ডনেও। মেয়র সাদিক খানের কাছে জমা পড়েছে এক লাখ মানুষের স্বাক্ষরিত এক স্বাধীনতার দাবি। এএফপি, রয়টার্স, ডেইলি মেইল, ডিডব্লিউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটেনে ব্রেক্সিট-বিরোধী বিক্ষোভ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ