Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৌলতপুরে তিন কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ

খামারিদের প্রণোদনা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার : | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদের জন্য সরকারের বরাদ্দ হওয়া প্রণোদনার প্রায় পৌনে ৩ কেটি টাকা লুটপাটের অেিযাগ পাওয়া গেছে। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের জন্য বরাদ্দ হওয়া এ অর্থ ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের না দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে প্রাণী সম্পদ অফিসের গেট সংলগ্ন ওষুধ ব্যবসায়ী ও দালাল চক্র, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী রিপ্রেজেন্টেটিভ, কথিত ভুঁইফোড় সাংবাদিক, প্রাণী সম্পদ অফিসের ইউনিয়ন পর্যায়ের মাঠকর্মী এবং খামার নেই এমন স্বচ্ছল ব্যক্তিদের মাঝে। এতে চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ও বঞ্চিত দুগ্ধ খামারিসহ সাধারণ মানুষ। একই সাথে তারা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দৌলতপুরে করোনাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ছোট বড় দুগ্ধ খামারিদের জন্য বরাদ্দ হওয়া সরকারের প্রণোদনার ২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক দুগ্ধ খামারিদেরকে না দিয়ে খামার নেই এমন ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে প্রণোদনার অর্থ দেওয়া হয়েছে অথচ তাদের কারও খামার নেই। আবার কোন কৃষকের একই গরু দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে এই অর্থ দেওয়া হলেও যার গরু দেখিয়ে সরকারী অর্থ লুট হয়েছে সেই হতভাগ্য ব্যক্তিকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়নি। আর এমন অমানবিক ঘটনা অহরহ রয়েছে। মানিক দিয়াড়গ্রামের আশরাফ নামে এক ব্যক্তির গরু দেখিয়ে ৩জন প্রণোদনার ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও দরিদ্র আশরাফের ভাগ্যে এ অর্থ জোটেনি।

এমন ঘটনা দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নেই ঘটেছে। আবার দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মচারী যারা রয়েছে তাদের পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় এমন অনৈতিক কর্মকান্ড ধামা চাপা দিতে কথিত ভুঁইফোড় সাংবাদিকদেরও এ অর্থ দেওয়া হয়েছে। তেলিগাংদিয়া গ্রামের দুগ্ধ খামারি আব্দুস সামাদ জানান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের মধ্যে সে একজন হলেও সরকারি প্রণোদনার আওতায় তাকে আনা হয়নি। অথচ খামার নেই এমন সব ব্যক্তিদের এ টাকা দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ রয়েছে উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের আব্দুল মালেক, একরামুল হক ও দৌলতখালী গোডাউন বাজার এলাকার সুজন, সজিব এবং বিছারুদ্দিনসহ প্রায় সব দুগ্ধ খামারিদের।

এবিষয়ে দৌলতপুর প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেক বলেছেন, সাড়ে ৭ হাজার ব্যক্তির মধ্যে থেকে বাছাই করে ২ হাজার ৪৬৬ জনের নামের তালিকা পাঠানো হলে তারাই মূলত সরকারের প্রণোদনার আওতায় আসে। আর এ কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুলত্রুটি হতে পারে। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত খামারিদের এর আওতায় আনার বিষয়ে সচেতন থাকবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রণোদনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ