পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানও প্রণোদনার ঋণ দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে গ্রেস পিরিয়ড ছাড়া এক বছরের মধ্যে ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে। আরক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে টাকা ফেরত দেয়ার সময়সীমা দুই থেকে তিন বছর। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিকক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতে ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো। এই ঋণের জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে। ঋণের ২৫ শতাংশ বিতরণ করা হবে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে। তবে তিন হাজার কোটি টাকার আবর্তনশীল পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের ঋণক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা যাবে। সব তফসিলি ব্যাংকক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের (এমএফআই) সদস্যদের অনুকূলেক্ষুদ্রক্ষণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ বিতরণের উদ্দেশে এমএফআই-এর অনুকূলে ঋণ সদস্যদের মধ্যে বিতরণের পর এ স্কিমের পুনঃ অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
সকল তফসিলি ব্যাংক নিজস্ব নীতিমালায়ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে সরাসরি বিতরণকৃত ঋণের স্কিমের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, করোনার প্রাদুর্ভাব প্রলম্বিত হওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উত্তরণ ও তাদের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার কোটি টাকার একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এমএফআই সদস্যভুক্ত একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা দিতে পারবে। আর গ্রুপভিত্তিক অর্থায়নের ক্ষেত্রে ৫ সদস্য বিশিষ্ট গ্রুপের অনুকূলে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ঋণ দেয়া যাবে।
তবে তফসিলি ব্যাংকের সরাসরি নির্বাচিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের এই স্কিম থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া যাবে। আর ৫ সদস্য বিশিষ্ট যৌথ প্রকল্পে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া যাবে। ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে গ্রেস পিরিয়ড ছাড়া এক বছরের মধ্যে ঋণের টাকা ফেরত দিতে হবে। আরক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে টাকা ফেরত দেয়ার সময়সীমা দুই থেকে তিন বছর।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এই স্কিম থেকে যারা ঋণ নেবেন, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে তারা তিন মাসের গ্রেস পিরিয়ড এবংক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পর্যায়ে ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ড পাবেন। উদ্যোক্তা পর্যায়ের এই ঋণের সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ ক্ষেত্রে স্টাম্প, এসএমএস চার্জ ও সরকারি আবগারি শুল্ক ব্যতীত অন্য কোনো চার্জ বা ফি আদায় করা যাবে না। অবশ্য গত বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে তিন হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃ অর্থায়ন স্কিম গঠন করেছিল, সেটি আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। তবে নুতন এ স্কিমের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। নতুন এই স্কিমের নাম দেয়া হয়েছে ‘নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক/ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।