ময়মনসিংহের নান্দাইলে ছেলের সুদের টাকা নিয়ে মারধরের ঘটনায় আম্বিয়া খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় আম্বিয়া খাতুনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে

জানা যায়, উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দগাঁও গ্রামে মো. আশ্রব আলীর ছেলে মুর্শেদ আলী (৩০) পার্শ্ববর্তী চামটা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাহজাহানের কাছ থেকে দুই মাস আগে দৈনিক সুদে ৫ হাজার টাকা নেয়। সুদের টাকা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় চামটা-কালেঙ্গা সড়কে শাহজাহান ও মুর্শেদ আলীর বিবাদ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। মুর্শেদকে শাহজাহান, তার ভাই কাঞ্চন ও আরজু, ছেলে আরমানসহ কয়েকজন লাঠিসোটা দিয়ে মারতে থাকে। খবর পেয়ে মা আম্বিয়া খাতুন ছেলেকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

পরে আম্বিয়া খাতুনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওযার পথে শাহজাহানের নেতৃত্বে চামটা বাজার এলাকায় পুনরায় হামলা ও মারধর করা হয়। এতে মুর্শেদের আহত মা আবার এ হামলার শিকার হন। এ সময় মুর্শেদসহ তার ভাই আব্দুল মতিন (৩০) ও আবুল কালাম (৫০)আহত হন।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আম্বিয়া খাতুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত বৃদ্ধার ছেলে আবুল কালাম জানান, তাদের বাড়ির একটি বিলের পাশে শাহজাহানের নেতৃত্বে একটি জুয়ার আসর বসতো। সেখানে জুয়াড়িদের শাহজাহান দৈনিক ভিত্তিক চড়া সুদে টাকা দিতো। এ নিয়ে কালাম প্রতিবাদ করায় এ হামলা করা হয় এবং তাদের পরিবারের সাথে শাহজাহানের পূর্ব শত্রুতাও ছিলো।

অভিযুক্ত শাহজাহান মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সাথে নয়, আমার ছোট ভাই কাঞ্চনের সাথে মুর্শেদের টাকার লেনদেন ছিল।

নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানূর রহমান আকন্দ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।