Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

‘দেশের মানুষকে আ.লীগের হাত থেকে বাঁচাতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, দেশ ও দেশের মানুষকে আওয়ামী লীগের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। ’৯১ সালের পর থেকে দেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যারা ক্ষমতায় যাচ্ছে তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দলবাজি ও টেন্ডারবাজী করে আঙ্গুল ফলে কলাগাছ হচ্ছে। দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। যারা ক্ষমতায় থাকে তারা আইনের উর্ধ্বে থেকে দুর্নীতি করে। সরকার দলীয়দের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই, আইন শুধু বিরোধীদের জন্য প্রয়োগ হচ্ছে। গতকার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং পার্টির ভাইস চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের হাত থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতা বিএনপির হাতে গেলে শুধু কালেক্টর পরিবর্তন হবে, টাকার অংক বাড়বে কিন্তু জনগনের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দেশের জনগন জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই দলকে সুসংহত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, নোয়াখালীর বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গেলো রাতেও একজন খুন হয়েছে। প্রায় ৩০জন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাদের দল একটাই, নেতাও একজনই। শুধু ভাগাভাগীর কারনেই তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব। দেশের মানুষ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে রাজনীতি করছে।

সংসদীয় গণতন্ত্রের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে সংবিধানে ৭০ ধারা সংযোজন করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এখন এক ব্যক্তির হাতে নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা এবং নিম্ন আদালত। আর উচ্চ আদালতের নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শতভাগই প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হাতেই।


কারণ, প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা ব্যতিরেকে প্রেসিডেন্ট কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারছেনা। এক ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার কারণে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা স্বৈরতন্ত্র। ৯০ সালের পর থেকে কোন দল একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে তা একদিনের জন্য হলেও নির্বাচনের মাধ্যমে জনগন নির্ধারন করতে পারতেন। অনিয়ম ও ক্ষমতা অপব্যবহারে এখন নির্বাচনে ভোট দেয়ার সেই অধিকার হারিয়েছে দেশের মানুষ।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে চাপা চেযারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি কোন জোটে নেই। নির্বাচনে কিছু আসনে ইলেকশন অ্যারেজমেন্ট হয়েছিলো কিন্তু বেশির ভাগ আসনেই আমাদের প্রার্থীরা লড়াই করেছে। নির্বাচনের পর থেকে আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় আছি। আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে কথা বলবোই। আমরা আমাদের রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাবো।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, উপদেষ্টা মোঃ আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী, মোঃ জহিরুল আলম রুবেল, মাহজাবিন মোর্শেদ, ডা. কে আর ইসলাম, পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি, মোহাম্মদ উল্লাহ, প্রফেসর সবিতা বেগম, নাজনিন সুলতানা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ.লীগ

১২ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ