মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভার ফৌজদারি দন্ড বাতিল করে দিয়েছেন। এতে জনপ্রিয় এই বামপন্থী রাজনীতিকের আগামী বছরের নির্বাচনে লড়ার সুযোগ তৈরি হলো। যার ফলে চাপে পড়ে গিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো।
লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল এবং বড় অর্থনীতির দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন লুলা। ‘অপারেশন কার ওয়াশ’ নামে খ্যাত দেশটির সবেচেয়ে বড় দুর্নীতি তদন্তের ঘটনায় দুর্নীতি ও অর্থপাচারের দায়ে লুলাকে ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরের বছর তাকে কারাগারে পাঠানো হয় যার ফলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। পরে ২০১৯ সালে তিনি ছাড়া পান। এই রায়ের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পুর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। তবে রায়ে লুলার রাজনৈতিক অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে। সম্ভবত, ২০২২ সালের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ খুলে গেছে। ওই নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়বেন ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল অগাস্টো আরাসের এক মুখপাত্র সোমবার জানান, তারা এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
রাজনীতিতে লুলার ফিরে আসা বলসোনারোর পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য সরাসরি হুমকি। গত সপ্তাহে ও এস্তাদো ডি এস পাওলো কর্তৃক করা এক জরিপে দেখা গেছে যে, বর্তমান মাঠে লুলাই একমাত্র প্রার্থী যিনি বোলসোনারোকে পরাজিত করতে পারেন। ৫০ শতাংশ বলেছেন যে, তারা ‘অবশ্যই’ বা ‘সম্ভবত’ ভোটারদের পক্ষে বলসোনারোর ৩৮ শতাংশের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। লুলার পক্ষে এই জরিপের ফলাফল ইতিবাচক হলেও এটি তুলে ধরেছে যে, ২০১১ সাল থেকে দুর্নীতির তদন্তের কারণে কীভাবে সাবেক এই ইউনিয়ন নেতার সুনাম নষ্ট হয়েছে। তখন তিনি ৮০ শতাংশের বেশি অনুমোদনের রেটিং দিয়ে অফিস ছেড়েছিলেন। (বোলসোনারোর অনুমোদনের রেটিং বর্তমানে ৪০ শতাংশ)) অতীতে, ব্রাজিলে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি ছিলো এবং বেকারত্বের হার আজকের তুলনায় প্রায় অর্ধেক ছিল। একটি জি-২০ সভায়, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লুলাকে ‘পৃথিবীর সর্বাধিক জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ’ হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।
এই জরিপ এছাড়াও ইঙ্গিত দেয় যে, জনপ্রিয় হলেও ২০২২ সালের নির্বাচনে লুলার বিজয় নিশ্চিত নয়। ও এস্তাদো ডি এস পাওলো পোলে সর্বোচ্চ রেটিং পাওয়ার পাশাপাশি তিনি উচ্চ নেতিবাচক রেটিংও পেয়েছেন; ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, তারা কখনই লুলাকে ভোট দেবেন না। একই সমীক্ষায় ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, তারা কখনই বোলসোনারোর পক্ষে ভোট দেবেন না।
লুলা ফিরে আসায় প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো যে উদ্বিগ্ন তা তার কথাতেই প্রকাশ পেয়েছে। সোমবার তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ের বিরুদ্ধে আদেশ দেবে বলে তিনি আশাবাদী। তার দাবি, যে বিচারক রায় দিয়েছেন, লুলার পিটি পার্টির সঙ্গে তার সবসময় শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল। তিনি বলেন, আমি মনে করি ব্রাজিলের জনগণ ২০২২ সালের নির্বাচনে তার মতো প্রার্থী চান না। লুলার প্রশাসন ‘বিপর্যয়কর’ ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে, রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লুলা টুইটে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই রায় কুরিটিবা’র ফেডারেল বিচার বিভাগের অযোগ্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং আমরা যে সঠিক আইনি লড়াইয়ে ছিলাম তার স্বীকৃতি। সূত্র : ফরেন পলিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।