পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
না ফেরার দেশে চলে গেলেন কুষ্টিয়ার ফুড ডেলিভারি গার্ল (খাদ্য সরবরাহকারী) কলেজছাত্রী রজনী অধিকারী (১৯)। গত সোমবার নারী দিবসেই রাত ১১টায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
রজনীর পরিবার ও বান্ধবীদের দাবি, বন্ধুর ওপর অভিমান করে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। রজনী অধিকারী কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার ৯ নম্বর পলানবক্স এলাকার অশোক অধিকারীর মেয়ে। তিনি খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কুষ্টিয়া জেলার একমাত্র এবং বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকজন নারী খাদ্য সরবরাহকারীর মধ্যে একজন ছিলেন।
২০১৮ সালে কুষ্টিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন রজনী। তিনি কুষ্টিয়া শহরের আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহতের বাবা অশোক অধিকারী জানান, রজনী খুব রাগী এবং অভিমানী ছিলেন। বন্ধুর ওপর অভিমান করে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
‘ফুড পান্ডা’র কুষ্টিয়া অফিসের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ফজলে রাব্বী জানান, রজনী খুব বিনয়ী ছিলেন। মন দিয়ে কাজ করতেন। অল্প দিনেই তিনি গ্রাহকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রজনীর বান্ধবীরা জানান, রজনী খুব জেদি ছিলেন। যখন-তখন মান-অভিমান করে হাত কাটতেন ও না খেয়ে থাকতেন।
রজনীর বান্ধবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজবাড়ী জেলায় রজনীর এক বন্ধু ছিল। তার ওপর অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, সকালে রজনীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।