গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভাড়া দিতে না পারায় বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে বাক্প্রতিবন্ধী এক নারী যাত্রীকে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। গত রোববার কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর বাজার এলাকায় সংঘটিত এ ঘটনার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়ে যায়। সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিকজ যোগাযোগ মাধ্যমে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুৃপার মারুফ হোসেন সরদার দৈনিক ইনকিলাবকে গত রাতে বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বাস শনাক্ত করা হয়েছে। ভিকটিমকে পাওয়া যাচ্ছে না। ভিকটিমকে ফেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, গত রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে এন মল্লিক নামের একটি বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয় বোরকা পরা ওই নারীকে। মাটিতে পড়ে তিনি অস্ফুট স্বরে গোঙাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে তাকে মাটি থেকে তোলেন। ভিডিও চিত্রেই দেখা যায়, গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ব-১৩-১৫২১। এন মল্লিক বাসটি গুলিস্তান-নবাবগঞ্জ রুটে চলাচল করে।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়া ওই নারী বাকপ্রতিবন্ধী ছিলেন। নারীকে ছুড়ে ফেলে দেয়া বাসের চালকের সহকারীর নাম হাসান (২২)। তার বাড়ি নবাবগঞ্জের জয়কৃষ্ণ এলাকায়। চালক ছিলেন সবুজ মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তি। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা এরই মধ্যে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি যে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনকে ওই নারী তাকে বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার কারণ লিখে জালিয়েছেন। ওই নারী লিখেছেন, এন মল্লিক কোনাখোলা থেকে উঠাইসে। ভাড়া নাই। এন মল্লিক কোনো দিনও আমার থেকে ভাড়া নেয় না। এরা ভাড়া চায়। দিতে না পারায় এমুন ব্যবহার। এন মল্লিকের সবাই আমাকে চেনে। ও মনে হয় চিনে নাই। তাই বুজাবার চেষ্টা করসিলাম। তবে একজন বাকপ্রতিবন্ধীর সঙ্গে এমন আচরণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন স্থানীয় লোকজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।