মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনাভাইরাসের ধাক্কায় এখনও মন্দার প্রকোপ পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি গোটা বিশ্ব। অথচ যে দেশ থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি, সেই চীনের রফতানি বাড়ল রেকর্ড হারে। রোববার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী রফতানিতে গত ২ দশকের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বেইজিং। একই সঙ্গে অবশ্য বেড়েছে আমদানিও।
রোববার আমদানি রফতানির জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ২ মাসে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০.৬ শতাংশ। এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর রফতানি বেড়েছে ৫৪.১ শতাংশ। মাস্ক, চিকিৎসা সামগ্রী-সহ বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি ৫০.২ শতাংশ। অন্য দিকে, আমদানি বেড়েছে ২২.২ শতাংশ।
সারা বিশ্বে সবচেয়ে কম দামে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি করে চীন। তার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এই ক্ষেত্রে বিশ্বে কার্যত নেতৃত্ব দেয় বেইজিং। করোনার জেরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা বিশ্বে। তাই ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর চাহিদাও বেড়েছে। সেই বাজারের বড় অংশ ধরেছে চীন। ফলে এই ক্ষেত্রে রফতানি বেড়েছে লাফিয়ে। অন্য দিকে করোনার মোকাবিলায় মাস্ক এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর রফতানিও বেড়েছে লক্ষণীয় ভাবে।
গত বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। শুরু হয়েছিল লকডাউন। বিশেষ করে উহান প্রদেশ কার্যত অবরুদ্ধ ছিল। ফলে গত বছরের এই সময় আমদানি ও রফতানি— ২ ক্ষেত্রেই সঙ্কোচন হয়েছিল চিনের অর্থনীতিতে। এই ২ মাসে রফতানি কমেছিল ১৭ শতাংশ। আমদানি কমে হয়েছিল ৪ শতাংশের মতো। রোববার এই তথ্য-পরিংসংখ্যান দেয়ার পাশাপাশি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বৈদেশিক বাণিজ্যে চীনের মোট উদ্বৃত্ত ১০ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।