Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাধীনতার বক্তব্য হিসেবে ৭ই মার্চের ভাষণই সারাবিশ্বে একমাত্র প্রামাণ্য দলিল : ডিএসসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২১, ১১:৩৯ এএম | আপডেট : ১১:৪২ এএম, ৮ মার্চ, ২০২১
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণই স্বাধীনতার বক্তব্য হিসেবে সারাবিশ্বে একমাত্র প্রামাণ্য দলিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। 
 
আজ (রবিবার) রাতে আহসান মঞ্জিল প্রাঙ্গনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন। 
 
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের বক্তব্যের তুলনা হয় না। এই বক্তব্যের সাথে যে সকল বক্তব্যের তুলনা করা হয়, সেসব বক্তব্য আসলে কোনটাই স্বাধীনতার কোন বক্তব্য না। সেসব বক্তব্য ছিল অন্য প্রেক্ষাপটের বক্তব্য। সুতরাং আমি বলব, স্বাধীনতার বক্তব্য হিসেবে ৭ই মার্চের বক্তব্যই সারাবিশ্বে একমাত্র স্বাধীনতার স্বীকৃত প্রামাণ্য দলিল।" 
 
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন,  "আমরা একটি শান্তিপ্রিয় জাতি, হাজার বছর ধরে আমরা পরাধীন ছিলাম। সেই পরাধীন জাতিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তিলে তিলে তাঁর ত্যাগ এবং তাঁর বলিষ্ঠ-দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে এই স্বাধীনতার দিকে নিয়ে এসেছেন। তিনি এই ভাষণের শেষে তিনি যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তা একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিল।"
 
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মঞ্চে উপবিষ্ট মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর নাম উল্লেখ করে বলেন, "আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ যেমন বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্য শুনে আলোড়িড হয়েছেন, অনুপ্রাণিত হয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন; আজকে যখন ১৩-১৪ বছরের একজন সন্তান এই বক্তব্য শুনে তার মধ্যেও কিন্তু সেই শিহরণই জেগে ওঠে, সেই আলোড়নই জেগে ওঠে। সুতরাং ৫০ বছরে মন্নাফী চাচাদের বয়স হয়ে গেছে, বুড়ো হয়ে গেছেন; আমরাও বুড়ো হতে চলেছি। কিন্তু এই বক্তৃতা বুড়ো হয়নি। এই বক্তৃতা আজীবন তরুণ এবং এই বক্তৃতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে আলোড়িত করবে, অনুপ্রাণিত করবে এবং স্বাধীনতা ও মুক্তির দিকে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।"
 
এ সময় ডিএসসিসি মেয়র ৭ই মার্চের বক্তব্যের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে আরও বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরতে হবে বলে উল্লেখ করেন। 
 
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে লেজার প্রদর্শনী (শো) এবং আহসান মঞ্জিলের ছাদ হতে বর্ণিল আতশবাজির আয়োজন করা হয়। আহসান মঞ্জিল প্রাঙ্গণে বসে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পরিবার সহকারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লেজার প্রদর্শনী ও আতশবাজি উপভোগ করেন।  
 
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সঞ্চালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজী সৌজন্য বক্তব্য রাখেন। 
 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ বদরুল আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জাফর আহমেদসহ করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ