Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি

১০০তম দিনে সড়ক অবরোধ, কৃষক আন্দোলনে প্রাণহানি ২৪৮

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

ভারতে কৃষক আন্দোলনের ১০০তম দিন ছিল শনিবার। এরই মধ্যে নয়াদিল্লির বাইরে ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করতে জড়ো হয়েছেন কৃষকেরা। নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিল ও সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে ট্রাক ও ট্রাক্টকসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে পাঁচ ঘণ্টার জন্য এই অবরোধ করছেন কৃষকেরা। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির বিস্তৃত কৃষি খাতের জন্য কৃষি আইনকে একটি প্রয়োজনীয় সংস্কার বলে মনে করছেন। এ ছাড়া কৃষি আইন ঘিরে বিক্ষোভকে রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত বলে দাবি করছেন। পাঞ্জাব রাজ্যের ৬৮ বছর বয়সী কৃষক অমরজীত সিং বলছেন, ‘মোদি সরকার এই আন্দোলনকে অপমানের জায়গা থেকে দেখছে। তারা কৃষকদের দুর্দশা দেখতে পারছে না। প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় তারা আমাদের জন্য রেখে যায়নি।’ খবরে বলা হয়, ভারতের চলমান কৃষক আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের ১০০তম দিন পূর্তি হয়েছে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলনে এই কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা (এসকেএম)। এসকেএম বলছে, কিছু কৃষক স্বাস্থ্যগত কারণে মারা গেছে। আর কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছেন। তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়েছে তারা। শনিবার একই ধরনের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চললেও কৃষকদের সরে আসার বা নমনীয় হওয়ার লক্ষণ নেই। বরং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দৃঢ়তা আরও বাড়ছে। মোর্চার মুখপাত্র দর্শন পল বলেছেন, আইনগুলো আমাদের জন্য মৃত্যুর পরোয়ানা। আমরা দীর্ঘ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার তিনটি কৃষি আইন প্রণয়ন করে। কিন্তু শুরু থেকে ওই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসছে কৃষকরা। বিশেষ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলন বড় আকার ধারণ করেছে। গত ২৬ নভেম্বর থেকে রাজধানী দিল্লির আশপাশের তিনটি অবস্থানে ক্যাম্প গেড়েছে কৃষকরা। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা। কৃষকদের অভিযোগ এই আইন কার্যকর হলে বড় প্রাইভেট কোম্পানির হাতে ক্ষমতা চলে যাবে এবং জীবিকার জন্য তাদের ওপর নির্ভর করতে হবে। রয়টার্স, এনডিটিভি, ইনভার্সি জোন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষক-আন্দোলন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ