পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে হওয়া হামলার প্রায় আড়াই বছর পর অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন সন্দেহে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ওই হামলা চালায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। এতে ছাত্রলীগের ৯জন নেতাকর্মী রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগত্র জমা দেয়ার পর আসামিরা জামিনে মুক্তিও পেয়েছেন। গতকাল আদালত সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আদালতের মোহাম্মদপুর থানার জিআরও মনির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গত জানুয়ারি মাসে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ দাখিলের পর অভিযুক্তরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন।
এদিকে, অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৮ সালে ৪ আগস্ট রাতে সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের ইকবাল রোডের বাসায় নৈশভোজের দাওয়াতে গিয়ে তিনি এ হামলার শিকার হন। ওই রাতে নৈশভোজের নামে তিনি গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে খবর পায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আনুমানিক রাত ১১টায় ছাত্রলীগের নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি দল ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা মার্সা বার্নিকাটের গাড়ি ধাওয়া করলে রাষ্ট্রদূত দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। দলটি বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে বদিউল আলম, তার স্ত্রী ও ছেলে মাহবুব মজুমদারকে জীবননাশের হুমকি দেন। মাহবুবকে ধাক্কা দিয়ে আঘাত করেন। বাড়ির প্রধান গেট ধাক্কাধাক্কি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা চলে যান।
এ ঘটনায় ওই বছর ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের নাইমুল হাসান, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, মো. সাজু ইসলাম, রাজিবুল ইসলাম রাজু, শহিদুল আলম খান কাজল, তান্না ওরফে তানহা ওরফে মুজাহিদ আজমি তান্না, সিয়াম, অলি আহমেদ ওরফে জনি। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জন আসামি রয়েছে, যাদের নাম-ঠিকানা জানতে না পারায় অভিযোগপত্রে ওঠেনি। মামলার অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।
এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবদুর রউফ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন সরকারবিরোধী কর্মকান্ড চালায়। ওই বছরের ৪ আগস্ট রাতে ড. কামাল হোসেন ও কয়েকজন মিলে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের ইকবাল রোডের ১২/২ নম্বর বাড়িতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাটের বিদায়ী নৈশভোজ আয়োজন করেন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. কামাল হোসেন বিভিন্ন সময় সরকারের নানামুখী কঠোর সমালোচনা করে থাকেন। তারা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও সংস্থার কাছে সরকারবিরোধী বিরূপ মন্তব্য করে থাকেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।