Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হুজিবি’র তিন সদস্যসহ গ্রেফতার ৭

রাজধানী পৃথক অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজিবি) তিন সদস্যসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে হুজিবি অপারেশন শাখার প্রধানসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. মাইনুল ইসলাম ওরফে মাহিন ওরফে মিঠু ওরফে হাসান, শেখ সোহান স্বাদ ওরফে বারা আব্দুল্লাহ ও মুরাদ হোসেন কবির। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, পাঁচটি মোবাইল ফোন, একটি মাইক্রোফোন, একটি চাপাতি, দুটি ছোরা, ১০টি ডেটোনেটর, ১৭০টি বিয়ারিং লোহার বল, একটি স্কচটেপ, পাঁচ লিটার এসিড, তিনটি আইডি কার্ড ও একটি জিহাদি বই জব্দ করা হয়।
সিটিটিসি’র উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাইনুল ইসলাম সাংবাদিকের বেশ ধরে হুজিবি’র সাংগঠনিক কাজ করে আসছিলেন। কারাগার থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডাক্তার জাফর এবং ২০০০ সালের কোটালিপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানের নির্দেশে সংগঠনকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন মাইনুল।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, শেখ সোহান সুনামগঞ্জের বিবিয়ানা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে সরকারী বাঙলা কলেজে পড়ার পাশাপাশি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। ২০১৬ সালে ঢাকায় একুশে বই মেলায় নাশকতার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও তিনি ২০১৭ সালে আরেকটি বিস্ফোরক মামলায় এবং ২০১৯ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলা গ্রেফতার হন। জামিনে বের হয়ে তিনি মাইনুলের নেতৃত্বে হুজি সংগঠনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন। মুরাদ হোসেন হুজিবি’র সক্রিয় সদস্য। তিনি ব্যবসার আড়ালে হুজিবি সংগঠনের দাওয়াতি ও বায়তুল মালের দেখভালের দায়িত্ব পালন করতেন।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুরান ঢাকার চকবাজারে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন - মো. হৃদয়, মো. মুন্না ওরফে রজব, মো. নুরে আলম তপু, ও মোহাম্মদ রাব্বি।
র‌্যাব-১০ এর লালবাগ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর চকবাজারের চক সার্কুলার রোড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৯৯১ পিস বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য, একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়।


গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গোপনীয়তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ বিক্রি করে আসছিলেন তারা। এ ধরনের বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ বিক্রির ফলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি মানুষের জীবনহানিও হতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে চকবাজার মডেল থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পৃথক-অভিযান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ