নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেভিয়ার মাঠ থেকে প্রথম লেগে ০-২ গোলে হেরে ফিরেছিল বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে তাই দারুণ কিছু করতেই হতো। শুধু জিতলেই হতো না, জিততে হতো সঠিক সমীকরণে। শেষ পর্যন্ত তা করেছেও দলটি। শ্বাসরুদ্ধকর নাটকীয় ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে কোপা দেল রে’র ফাইনালে উঠেছে কাতালানরাই। গতপরশু রাতে ক্যাম্প ন্যুতে সেভিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে সেভিয়া ২-০ গোলে জিতলেও দুই লেগ মিলে ৩-২ ব্যবধানে বিজয়ী প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। পেনাল্টি সেভ করে এতে বড় অবদান আছে গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের।
লা লিগায় টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পর ঘরের মাঠে বার্সেলোনার বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই নিজেদের খুঁজে ফেরে সেভিয়া। ম্যাচের প্রায় ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে কাতালান জায়ান্টরা গোলের উদ্দেশে মোট ২২টি শট নেয়। এর আটটিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে দৃষ্টিকটু রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা সেভিয়ার ছয় শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটেই উসমান দেম্বেলের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটি পেতে অপেক্ষা করতে হয় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। মাঝে একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল সেভিয়া। সেটা ফিরিয়ে দিয়ে বার্সাকে ম্যাচে রেখেছিলেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন। যোগ করা সময়ের শুরুতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সেভিয়া। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফের্নান্দো। এরপরই নাটকীয় মোড় নেয় ম্যাচ। ম্যাচ শেষ হতে তখন বাকি আর কিছুক্ষণ। মরিয়া হয়ে উঠেছে বার্সেলোনা, তাদের ঠেকিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে সেভিয়া। এমন সময় তাদের হতবাক করে সমতায় ফেরে কাতালান ক্লাবটি। বদলি অঁতোয়ান গ্রিজমানের বাঁ দিক থেকে বাড়ানো ক্রসে হেডে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান পিকে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে মার্টিন ব্র্যাথওয়েটের আরও একটি দারুণ হেডে সমীকরণ মিলিয়ে ফেলে দলটি।
অথচ ম্যাচ জিতেও মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়া তখন কেবল কয়েক মুহ‚র্তের ব্যাপার ছিল। ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় রক্ষণাত্মক খেলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি সেভিয়া। নিজেদের উপর বিশ্বাস থাকাতেই এমন জয় মিলেছে বলে মনে করেন বার্সা কোচ রোনাল্ড কোমান, ‘আমরা সবসময় বিশ্বাস রেখেছিলাম। কোপা (দেল রে) থেকে আমরা হাল ছেড়ে দেইনি। এটা মানসিকতার প্রশ্ন।’ এ জয় তাদের প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন কোমান, ‘আমি, একজন কোচ হিসেবে আমার দলকে আরও বেশি দিতে বলতে পারি যা আমরা দেখেছি। আমরা অতিরিক্ত সময়ের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। আমি দলের কাজে খুব খুশি। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া আমাদের প্রাপ্য ছিল। আমার মনে হয় দুই লেগেই আমরা ভালো ছিলাম। আমরাই সেরা দল ছিলাম।’
চলতি মৌসুমে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে ভালো খেলতে পারছিল না বার্সা। বিশেষ করে প্রতি ম্যাচেই রক্ষণভাগের ভুলে ম্যাচ হারতে হয়েছে তাদের। তাই এর আগে লা লিগার ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে রক্ষণভাগের শক্তি বাড়িয়ে ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেলে। তাতে কাজ হয়। সে ম্যাচে তারা জিতে নেয় ২-০ গোলে। আগের দিনও কোপা দেল রের ম্যাচেও একই ধাঁচে খেলে দলটি। লা লিগায় সে ম্যাচ জিতেই দলটি আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে বলে জানান বার্সা কোচ, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসের জন্য সে জয় খুব জরুরী ছিল। যেভাবে আমরা এখানে খেলেছি। এই ফর্মেশনে সেটা আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। আমরা ঠিকই একই ভাবে খেলার চেষ্টা করেছি এবং আমরা পেরেছি।’ তবে এদিন আরও বড় জয় পেতে পারতো বার্সেলোনা। বেশ কিছু সহজ সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে যাওয়ায় এ নিয়ে ভাবছেন এ ডাচ কোচ, ‘আমরা তিনটি গোল করতে সমর্থ হয়েছি এবং আমরা আরও বেশি দিতে পারতাম। আপনি এর বেশি আশা করতে পারেন না।’
শিরোপা লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ গতরাতেই মাঠে গড়ানো অন্য সেমি-ফাইনালে লেভান্তে ও আথলেতিক বিলবাওয়ের মধ্যে বিজয়ী। এতক্ষণে নিশ্চয়ই জেনেও গেছেন কি ঘটেছে ম্যাচের ভাগ্যে।
বার্সেলোনা ৩-০ সেভিয়া
(দুই লেগ মিলে ৩-২ এ ফাইনালে বার্সা)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।