মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) হাফিজ শেখের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ইউসুফ রাজা গিলানি। গতকাল বুধবার দেশটির সিনেটের ৩৭টি আসনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয় স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায়। এ নির্বাচনে সিন্ধ, খাইবার পাখতুনখাওয়া, বেলুচিস্তান ও ইসলামাদের মোট ৭৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সিনেট নির্বাচনে ইসলামাবাদে ধরাশায়ী হওয়ার পর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বেসরকারি ফলাফলে ইসলামাবাদে বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত প্রার্থী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বর্তমান সরকারের অর্থমন্ত্রী হাফিজ শেখকে পরাজিত করেছেন। গিলানি পেয়েছেন ১৬৯ ভোট আর শেখ পেয়েছেন ১৬৪ ভোট।
বিরোধী দলগুলোর জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) বলছে, তাদের প্রার্থী গিলানির জয় ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে জনঅনাস্থার মূর্ত প্রতীক।
পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এ জয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লিখেন, ‘গণতন্ত্রই সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ’।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ এক টুইটে লিখেছেন, সিনেটে গৌরবোজ্জ্বল জয় পাওয়ার জন্য গিলানিকে আন্তরিক শুভেচ্ছ। আর দলটির ভাইস চেয়ারম্যান নওয়াজ কন্যা মরিয়ম টুইট করে গিলানিকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে বিরোধী জোট পিডিএমের সব নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। মরিয়ম লেখেন, ‘মুসলিম লীগ নেতাকর্মীদের অভিনন্দন। ভবিষ্যত তোমাদের।’
ইসলামাবাদে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী ডা. আবদুল হাফিজ শেখ পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। আর ইউসুফ রাজা গিলানি পেয়েছেন ১৬৯ ভোট। এই নির্বাচনে ইমরান খানের দলের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ নির্বাচন করেছেন বিরোধী দলগুলো। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলন (পিডিএম) নামে একটি মোর্চা করে ভোট করে বিরোধী দলগুলো। গিলানি এই জোটের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হন।
ইমরান খানের প্রার্থী নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর উল্লসিত বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সম্মানের সঙ্গে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : ডন, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।