নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : তখন ম্যাচের অন্তিম সময়। সমতায় ফিরতে মরিয়া উরুগুয়ে। প্রতিটা সেকেন্ডই তখন মহামূল্যবান। ঠিক এমন সময় বন্ধ হয়ে গেলো খেলা। নিরাপত্তারক্ষিদের ফাঁকি দিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন এক পাগলা মেসি ভক্ত, দাবিÑফুটবল জাদুকরের বুটে একটা চুমু এঁকে দিতে চান। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রাও কোন প্রদিবাদ না করে চেয়ে দেখলেন বিশ্বসেরা ফুটবলারের প্রতি কত ভালোবাসা তার ভক্তদের।
অথচ নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য দাঙ্গা পর্যন্ত রাখা হয়েছিল স্টেডিয়ামে। মেসির প্রত্যাবর্তন ম্যাচ বলে কথা। দর্শকরা কীভাবে তাকে স্বাগত জানায় সেটা ভেবেই এই ব্যবস্থা। কিন্তু মাঠে এদিন দর্শকরা হাজির হয়েছিল হাজারো ব্যানার আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে। তাতে লেখা ‘ধন্যবাদ মেসি, আমাদের সঙ্গে থেকে যাওয়ার জন্য’, কোনটায় লেখা ‘মেসি আমাদের ছেড়ে চলে যেতে পারে না’, আবার কোখাও ‘মেসি থাকবেই’। মেসিও নিশ্চয় বুঝেছেন কত লক্ষ কোটি বক্তদের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন তিনি। এছাড়া ম্যাচ জুড়ে যখনই তার পায়ে বল যাচ্ছিল, তখনই গ্যালারি থেকে মেএএএসি, মেএএএসি স্লোগান দ্বিগুণ শব্দে গর্জে উঠছিল।
ম্যাচ শেষে দীর্ঘদিনের মৌনতা ভাঙেন আর্জেন্টিনা আধিনায়ক। টিভি পাবলিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দলে ফিরে আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমি যখন অবসর নিয়েছিলাম তখন কাউকে ধোঁকা দেইনি, আমি এটাই অনুভব করেছিলাম। সেদিন যা ঘটেছিল তাতে আমরা সবাই হতাশ ছিলাম। কিন্তু পরে আমি বুঝেছিলাম। পাটনের (বাউজা) সাথে এবং এসময় যারা আমার পাশে ছিল তাদের সাথে আমার কথা হয়েছিল।’ এরপর একটা দুঃসংবাদও দিয়ে রাখেন মেসি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হওয়ায় কুঁচকিতে চোট থাকা সত্ত্বেও পুরো সময় মাঠে ছিলেন এদিন। ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে নাও দেখা যেতে পারে তাকে। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে আমি খেলতে পারব কি না। আমার কুঁচকিতে প্রচুর ব্যথা। কিন্তু তার পরও আমি এখানেই থাকতে চাই।’
কোচ বাউজাও বলেন, ‘পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বুঝতে পারবো তার অবস্থা কেমন। তবে তাকে নিয়ে আমরা ঝুঁকি নেব না।’
মেসিকে না পেলে প্রতিপক্ষের মাঠে পরীক্ষাই দিতে হবে বাউজাকে। লাল কার্ড দেখায় আক্রমণের একমাত্র ভরসা পাওলো দিবালাকেও পাবেন না তিনি। আগুয়েরো-পাস্তোরেও ইনজুরিতে। আর গঞ্জালো হিগুয়েইনকে তো দলেই রাখেননি তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।