গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়কে অস্বীকার করে পদাবনতি দেওয়ার ঘটনাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান। তার দাবি, গবেষণায় তিনি নকল করেনি। নকলের অভিযোগে পদাবনতি ষড়যন্ত্রমূলক। তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফাঁসানো হয়েছে। বলির পাঠা করা হয়েছে।
সামিয়া রহমানের এমন দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করেছেন অনেকেই। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে নানাজন নানা মন্তব্য করেছেন।
সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে চৌর্যবৃত্তির দায়কে প্রত্যাখ্যান করেন সামিয়া। এসময় তিনি বলেন, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে ও উচ্চ আদালতে যাবেন।
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দেয়। আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনি পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
গবেষণা চুরির দায়ে শাস্তি পাওয়া সামিয়া রহমানের দাবি নিয়ে রিজভী হাসান লিখেছেন, ‘‘গবেষণা পত্র চুরি এবং তা নিজের নামে চালানো এই অভিযোগটা যখন প্রমাণিত হয়েছে ওনার বিরুদ্ধে। আর তখন উনি বড় গলায় বারবার বলে যাচ্ছেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে ফাঁসানো কি এতই সহজ?নাকি টকশোর মত মানুষকে ফাঁসাতে ফাঁসাতে নিজেই ফেঁসে গেছেন? একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এতটা নির্লজ্জতা আশা করা যায় না।ওনার বেপারে খোঁজ নেওয়া উচিত ঠিক কোন যোগ্যতায় উনি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের মত জায়গায় শিক্ষকতার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ পেয়েছেন।’’
দেওয়ান এম এ রহিমের মন্তব্য, ‘‘শুধুমাত্র পদাবনতি যথেষ্ঠ না। তাদেরকে জরিমানাসহ চাকুরিচ্যুত করে এযাবৎ পর্যন্ত তাদের দ্বারা গৃহিত সমস্ত বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন করে আদায় করা উচিত, এবং সকল প্রকার সরকারী চাকুরিজীবিদের সুযোগ সুবিধা, ভাতা, পেনশন ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত করা উচিত। পাশাপাশি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ বাতিল করা উচিত এবং সরকারি এবং বেসরকারী শিক্ষকতা পেশাসহ যেকোন সরকারী পেশা থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করে একটি কঠিন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত।’’
মামুন শিকদার লিখেছেন, ‘‘এখন একটা ভালো সিস্টেম চালু হইছে, অপরাধ প্রকাশ হওয়ার পর অপরাধী সাংবাদিক সম্মেলন করে আর বলে সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এরা অপরাধ করে জনসম্মুখে কথা বলতে এদের কোন লজ্জা নাই।’’
উল্লাশ জায়েদ লিখেছেন, ‘‘সামিয়া, আপনার ভাগ্য ভালো বাংলাদেশের অক্সফোর্ডের মতো স্বনামধন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন। অন্যকোন দেশ হলে চাকরি চলে যেত। আর এরপরে সংবাদ সম্মেলন করতে আসলে মুখে... মারতো।’’
কাজল মোল্লার মন্তব্য, এরই নাম চোরের মার বড় গলা! এখানে সামিয়া জামান তো আর চোরের মা নন! নিজেই সে চোর, বড় গলায় দাম্ভিকতার সাথে কথা বলতেছে! লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চাওয়া তো বহুদূরে, হায়রে আল্লাহ কোন যুগে এসে পড়লাম!’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।