বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে । পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি নিহত ব্যক্তির পরিবারের।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমু। তিনি রংপুরের কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে নীলফামারী সদরের কচুকাটা গ্রামে অপহরণের পর এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জন্য একই গ্রামের আবদুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল এবং জাহিদুল হোসেন মাস্টারের ছেলে রিজভীকে দায়ী করেছেন নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন। অভিযুক্ত দুজনই ওই শিক্ষার্থীর নিকটতম প্রতিবেশী।
নিহত রিমুর বাবা আবদুর রাজ্জাক জানান, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে কলেজ বন্ধ থাকায় গ্রামে বাড়িতে থাকা অবস্থায় টিউশনি করতেন রিমু। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে টিউশন করাতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথরোধ করে স্থানীয় ফয়সাল ও রিজভী রিমুকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, মেয়েকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, এ রকম সংবাদ তাদের কাছে আসে। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কে বা কারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রিমুর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনা জানার পর সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন রিমুর পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে এসে তারা রিমুর লাশ শনাক্ত করেন।
রিমুর মা লিলি আখতার অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফয়সাল তার আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি ফয়সালের পরিবারকে জানালে রিমুর ভাইয়ের সঙ্গে ফয়সাল ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে সোমবার ফয়সাল আমার মেয়েকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা পরিকল্পিতভাবে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিমুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই আমি।
এদিকে রিমুর লাশ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত রিমুর মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছিল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনায় আহত বলে লেখা রয়েছে।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মেয়ের বাবা থানায় মামলা করতে এসেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।