মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২৬ সেপ্টেম্বরের প্রথম মুখোমুখি লড়াই নিয়ে দুই পক্ষই সিরিয়াস
ইনকিলাব ডেস্ক: ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের আর্ট অব দ্য ডিলর অদৃশ্য লেখকদের কাছে এখন রীতিমতো ধর্না দিচ্ছেন হিলারি ক্লিনটনের উপদেষ্টারা। ট্রাম্পের সবচেয়ে নাজুক দিকগুলো খুঁজেপেতে বের করতে চান তারা, যাতে কৌশল সাজাতে পারেন। আর এমন সব তিক্ষ্ণ যুক্তি খাড়া করতে পারেন যা উপস্থাপন মাত্রই ঘায়েল হয়ে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের রিপাবলিকান প্রার্থী ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। হাতে আর মাস খানেক সময়ও বাকি নেই। এসে গেছে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এক ইভেন্ট। নতুন প্রজন্ম গোটাটাই তাকিয়ে আছে এই বিতর্কের দিকে। তারা শুনবে, বিমোহিত হবে, ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে এই কর্মসূচি দেখে। সুতরাং যুক্তির ঘায়েলে ট্রাম্পকে জর্জরিত করে ফেলতে হবে প্রথম আসরেই। সেটাই হিলারি শিবিরের কৌশল। সুতরাং চেষ্টার কমতি রাখছেন না তারা। দলের লোকেরা ধর্না দিচ্ছেন মনস্তত্ববিদদের দরজায়ও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিত্বের একটা স্কেচ করে নিতে চান। যুক্তির আঘাতগুলো যখন হানা হবে তখন তাতে ট্রাম্পের ভাবগতিক কোনদিক থেকে কোন দিকে যাবে, বিশেষ করে বিতর্কের মঞ্চে একজন নারী প্রতিপক্ষের সামনে তিনি কী করবেন তাও জেনে নিতে চান হিলারির উপদেষ্টারা।
এরইমধ্যে রিপাবলিকান প্রাইমারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কগুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে রাসয়নিক পরীক্ষাও সেরে নিচ্ছেন তারা। ট্রাম্পের সবল-দুর্বল দিকগুলো সাজিয়ে নিচ্ছেন যাতে প্রয়োজন মাফিক প্রস্তুতি নেওয়া যায়। এছাড়াও তারা খুঁজে দেখছেন সেই সব নেতিবাচক দিক যা আসলে একজন প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থীর ক্ষেত্রে কোনওভাবেই যায় না। বিতর্ক প্রস্তুতি দলের ব্যাপক গবেষণাকর্মের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন হিলারি ক্লিনটন নিজেও। বিশেষ করে শুক্রবারগুলোতে কয়েক ঘণ্টা করে সময় দিচ্ছেন তিনি। প্রস্তুতি হিসেবে ডিবেট করার জন্য তার সহযোগীরা এমন কাউকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন, যিনি মঞ্চে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আচরণ করতে পারবেন। ট্রাম্পের মতোই হিলারিকে আক্রমণ করতে পারবেন। এমন একজন পেলে তাকে প্রতিপক্ষে দাঁড় করিয়েই প্রস্তুতি নেবেন হিলারি।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ নিয়ে পুরোই গা-ছাড়া ভাব। গেলো দুটি রোববারে তিনি অবশ্য কিছুটা করে সময় কাটিয়েছেন ডিবেট টিমের সঙ্গে। কিন্তু তাও সুনির্দিষ্ট কিছু নয়। স্রেফ চলতি পথে ঘুরে যাওয়া। আর ওদের বললেন, আরে তোমরা প্রিপারেশন নিতে থাকো। সময়মতো দেখা যাবে। ট্রাম্প অবশ্য প্রস্তুতির নামে এমন খাটাখাটনির পক্ষেও নন। গেলো সপ্তায় একটা সাক্ষাৎকারে বললেন, প্রস্তুতি তো নেওয়াই যায়, কিন্তু বিতর্কের মঞ্চে তাতে স্ক্রিপ্ট নির্ভর কিংবা মেকি ভাবটাই প্রকট হবে। তখন নিজের বক্তব্যকে আর নিজের মনে হবে না। দুই শিবিরের দুই স্টাইল হলেও ২৬ সেপ্টেম্বরের প্রথম মুখোমুখি লড়াইটা নিয়ে দুই পক্ষই সিরিয়াস, তাতে সন্দেহ নেই। বিতার্কিত হিসেবে হিলারি আগেই নাম কুঁড়িয়েছেন। রয়টার্স, এএফপি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।