নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাও পাওলোর বিপক্ষে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হার ফ্লামেঙ্গোর। কিন্তু তাতে কী? নাটকীয়তার ম্যাচে হেরেও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের শীর্ষ লিগে শিরোপা ধরে রেখেছে দলটি। একই সময়ে হওয়া লিগের আরেক ম্যাচে করিন্থিয়ান্সের সঙ্গে ইন্তারনাসিওনাল ড্র করায় শিরোপা ওঠে ফ্লামেঙ্গোর হাতে। ৩৮ ম্যাচে ২১ জয় ও ৮ ড্রয়ে ফ্লামেঙ্গোর পয়েন্ট ৭১। তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে রানার্সআপ ইন্তারনাসিওনাল। সাও পাওলোর বিপক্ষে জিতলে অন্য কোনো হিসাব ছাড়াই নিজেদের অষ্টম লিগ শিরোপা জিতত ফ্লামেঙ্গো। তবে শেষ ধাপে এসে হাতছাড়া হতে বসেছিল শিরোপা। যেন স্নায়ুচাপ পেয়ে বসেছিল তাদের। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে লুসিয়ানোর ফ্রি কিকে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্রুনো হেনরিকের গোলে সমতায় ফেরে দলটি। এর খানিক পর সাও পাওলোর জয়সূচক গোলটি করেন পাবলো। ম্যাচটি যখন শেষ তখন ইন্টার-করিন্থিয়ান্স ম্যাচে চলছিল যোগ করা সময়। সবাই জড়ো হয়ে মোবাইল ফোনে সেই ম্যাচে নজর রেখেছিল ফ্লামেঙ্গোর ফুটবলাররা। শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে তারা।
মৌসুমের শুরুতে কত ঝক্কিই না পোহাতে হয়েছিল দলটিকে। মৌসুম শুরুর আগে কোচ জর্জে জেজুস ফিরে যান সাবেক ক্লাব বেনফিকায়। নতুন কোচের হাত ধরে আসরের শুরুটা তাদের ভালো ছিল না একেবারেই। তিন ম্যাচ শেষে তারা ছিল পয়েন্ট তালিকার তলনিতে।
জেজুসের উত্তরসূরি স্প্যানিশ কোচ দমেনাক তরেন্তকে ব্যর্থতার দায়ে ছাঁটাই করে দলটি। দায়িত্ব দেয় ব্রাজিলের রোজেরিও চেনিকে। তার কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্লামেঙ্গো।
সাও পাওলোর ব্যর্থতার সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগায় চেনির দল। একটা সময় ৭ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে থাকা সাও পাওলোর সবশেষ ১১ ম্যাচে জয় কেবল দুটিতে। কোচ হিসেবে ৪৮ বছর বয়সী ব্রাজিলের সাবেক গোলরক্ষক চেনি প্রথম বড় শিরোপা জিতলেন মোরুম্বি স্টেডিয়ামে, খেলোয়াড় হিসেবে সাও পাওলোর হয়ে যেখানে পুরোটা সময় কাটিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।