নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আহমেদাবাদের প্রবল স্পিন সহায়ক উইকেটে খাবি খেয়েছে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। ক্রিকেট বিশ্ব দেখেছে গত ৮৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে স্বল্পস্থায়ী টেস্ট। স্পিনারদের রাজত্বে ভারত-ইংল্যান্ডের গোলাপি বলের এই ম্যাচ জায়গা করে নিয়েছে রেকর্ডের নানা পাতায়।
০- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আহমেদাবাদ টেস্টের (৮৪২ বল) চেয়ে কম বলে ম্যাচ শেষ হওয়ার ঘটনা নেই একটিও। ইংল্যান্ড-ভারতের মুখোমুখি হওয়া প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টটি দ্রুত শেষ হওয়া ইতিহাসের সপ্তম টেস্ট, ১৯৩৫ সাল থেকে প্রথম।
৭৭- রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৭৭ টেস্টে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তার চেয়ে দ্রুত এই কীর্তি গড়েন কেবল মুত্তিয়া মুরালিধরন, ৭২ টেস্টে।
৩৮৭- দুই দলের মোট রান এটি, এশিয়ায় ফল হওয়া কোনো টেস্ট ম্যাচের যা সর্বনিম্ন। আগের সর্বনিম্ন ছিল ২০০২ সালে, শারজাহতে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে ৪২২ রান হয়েছিল। আহমেদাবাদ টেস্ট গত ৭৪ বছরে সবচেয়ে কম রানের ম্যাচ।
৮১- দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৮১ রান ভারতের বিপক্ষে যেকোনো দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। ২০১৫ সালে নাগপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের আগের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ১০১, ওভালে ১৯৭১ সালে।
১৯৩- দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৯৩ রান করেছে ইংল্যান্ড। টেস্টে ভারতের মাটিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে এত কম রানে অলআউট হয়নি আর কোনো দল।
০- আহমেদাবাদ টেস্টে ভারত-ইংল্যান্ড দুই দলেরই দ্বিতীয় ইনিংসে বল করেননি কোনো পেসার। ফল হওয়া টেস্টের তৃতীয় ও চতুর্থ ইনিংসে কেবল স্পিনাররা বোলিং করার ঘটনা আছে আর একটি। ভারতের হয়ে অশ্বিন, আকসার প্যাটেল ও ওয়াশিংটন সুন্দর আর জ্যাক লিচ ও জো রুট ইংল্যান্ডের হয়ে বোলিং করেছেন।
৮- পাঁচ উইকেট নিতে কেবল ৮ রান দিয়েছেন রুট। টেস্ট ইতিহাসে কোনো স্পিনারের সবচেয়ে কম রানে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ড ছিল যুগ্মভাবে দুই অস্ট্রেলিয়ান টিম মে ও মাইকেল ক্লার্কের। ১৯৯৩ সালে অ্যাডিলেইডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মে। ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সমান রান দিয়ে ক্লার্ক নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
১- প্রথম ইনিংসে ১৪৫ বা এর চেয়ে কম রানে অলআউট হয়ে ১০ উইকেটে জেতার ঘটনা আছে আর কেবল একটি। ভারতের এই জয়ের আগে ১৯০৯ সালে বার্মিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১২১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ১০ উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড।
১১/৭০- আহমেদাবাদ টেস্টে ৭০ রান দিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন আকসার। ভারতের হয়ে টেস্টে এর চেয়ে কম রানে ম্যাচে ১০ উইকেট নেই কারো। ২০১২ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে অশ্বিনের ৮৫ রানে ১২ উইকেট ছিল আগের সেরা। দিবা-রাত্রির টেস্টে ম্যাচ সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও এখন আকসারের। তিনি ছাড়িয়ে গেছেন ব্রিজবেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্যাট কামিন্সের ৬২ রানে ১০ উইকেট।
৩- আকসারের আগে ভারতীয়দের মধ্যে টানা তিন বা এর বেশি ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিন জন। ২০১১ সালে হরভজন সিং, ১৯৮৪ সালে লক্ষন শিভারামাকৃষ্ণান ও ১৯৯৯ সালে জাভাগাল শ্রীনাথ এই কীর্তি গড়েন। সবচেয়ে বেশি টানা ছয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার চার্লি টার্নারের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।