বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কাদিয়ানীদের অবিলম্বে সাংবিধানিক ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতেই হবে। আমি শেখ হাসিনাকে বলবো কাদিয়ানীরা শুধু ইসলামের জন্য হুমকি নয় তারা বাংলাদের স্বাধীনতার জন্যও হুমকি। তারা এ দেশকে কাদীয়ানি দেশ বানাতে চায়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ব্যক্তি গত ভাবে কাদিয়নীদের কাফের মনে করে। আজ শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় দিন ব্যাপী খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে মহাসম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের আমির ও চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ব্যক্তি গত ভাবে কাদিয়নীদের কাফের মনে করলে হবে না,আপনি এ দেশের ১৬ কোটি জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে কাদিয়ানীদের সরকারি ভাবে ও সাংবিধানিক ভাবে কাফের ঘোষনা করতে হবে। ১৯৫৭ সালে মিশরে,১৯৫৮ সালে সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষনা করেছে। আমাদের ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষনা করতে কোন বাধা নেই। কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষনা না করায় তারা মক্কা-মদিনার পবিত্রতা নষ্ট করছে,মুসলমানদের সাথে তাদের সন্তানদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধসহ ইসলামের পরিভাষা ব্যবহার করতেছে। পবিত্র কোরআন শরিফের ৯৯টি আয়াত এবং ২১০টি হাদিস দ্বারা আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত প্রমাণিত। যারা আকিদায়ে খতমে নবুওয়াত মানে না, তারা সন্দেহ ছাড়া কাফের। গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে এদেশের হিন্দুরা হিন্দু নামে, বৌদ্ধরা বৌদ্ধ নামে এবং খ্রিস্টানরা খ্রিস্টান নামে তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করছে। কিন্তু কাদিয়ানী অমুসলিমরা মুসলমান নাম ধারণ করে সরলমনা সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে ঈমানবিধ্বংসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যা ইসলাম ধর্মের নামে অপপ্রচারের শামিল। তা কখনো মেনে নেয়া যায় না। গোয়েন্দাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আমার মেসেজ পৌছাবেন কিন্তু হুবহু পৌছাবেন। খতমে নবুওয়াত আন্দোলনে কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষনার জন্য আমি আপনাদের সাথে আছি। হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে বাবুনগরী এসব কথা বলেন।
খতমে নবুওয়াত সংরক্ষন কমিটি বাংলাদেশ এর আমীর ও মধুপুর পীর আল্লামা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে মহাসম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগামী, আল্লামা আব্দুল হালিম বুখারী, জৈনপুরী পীর ডা. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, আল্লামা আব্দুল আউয়াল,মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা জাফর আহমাদ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী,মাওলানা আনাস,আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী,মাওলানা হাসান জামিল,মাওলানা শোয়াইব ইব্রাহিমসহ দেশের প্রখ্যাত আলেমগন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।