মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই বেশ গভীর। সে সম্পর্কে যে ভাটা পড়েনি তা শ্রীলংকায় ইমরান খানের সদ্য সফর থেকেই বোঝা যায়। দুদিনের শ্রীলংকা সফর শেষে গত বুধবার ইসলামাবাদে ফিরেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সদ্যসমাপ্ত সফরে কলম্বোর ‘আন্তরিক ও প্রশংসনীয় আতিথেয়তার’ জন্য লংকান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
গার্ড অব অনার দিয়ে ইমরানকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় এসব আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনার বাইরে ইমরান খানের সফর নিয়ে মাহিন্দা রাজাপাকসের ব্যক্তিগত উচ্ছ্বাসও ছিল অনেক বেশি। এ নিয়ে একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। এমনকি এ নিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুতেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন রাজাপাকসে। শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নামাল রাজাপাকসে এখন দেশটির যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালে কলম্বোয় ‘ইমরান খান হাই পারফরম্যান্স স্পোর্টস সেন্টার’ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনিও।
উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন ইমরান খানও। যদিও শ্রীলংকায় এটিই তার প্রথম সফর ছিল না। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক সাবেক এ ক্রিকেটার আগেও অসংখ্যবার শ্রীলংকা সফরে গিয়েছেন। বিশেষ করে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় দলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার শ্রীলংকায় ক্রিকেট খেলতে গিয়েছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের এটিই প্রথম শ্রীলংকা সফর। একই সঙ্গে করোনা-উত্তরকালে কলম্বো সফরকারী প্রথম বিদেশী সরকারপ্রধানও তিনি।
এসব উচ্ছ্বাসের বাইরে শ্রীলংকার কাছে ইমরান খানের সফরের গুরুত্ব অন্যখানে। এ সফরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে যাচ্ছে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। কলম্বোয় ইমরান খান ঘোষণা দিয়েছেন, শ্রীলংকার জন্য প্রতিরক্ষা লাইন অব ক্রেডিট আরো ৫ কোটি ডলার সম্প্রসারণ করবে ইসলামাবাদ।
এছাড়া এ সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস ও সংঘটিত অপরাধ মোকাবেলা এবং মাদক ও নেশাদ্রব্য চোরাচালান মোকাবেলায় একযোগে কাজ করারও ঘোষণা দেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ঘোষণা দেয়া হয় গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগিরও।
এ নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় পাকিস্তান ও শ্রীলংকা উভয়ই অঙ্গীকারবদ্ধ। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বর্তমান মাত্রা উভয়ের জন্য সন্তোষজনক। এছাড়া দুই দেশের নিরাপত্তা কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনা ও সংলাপের মাত্রা এখন বেড়েছে, যা নিরাপত্তা খাতে পারস্পরিক সম্পর্কের গভীরতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।
ইমরান খানের এ সফর শ্রীলংকার ক্ষমতাসীন রাজাপাকসে পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ককে আরো উষ্ণ করে তুলেছে এবং এ সম্পর্ক সামনের দিনগুলোয় আরো দৃঢ় ও গভীর হবে। সূত্র : জিওটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।