পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ছিল জাপানের মাননীয় সম্রাট নারুহিতোর ৬১তম জন্মদিন। এটি জাপানের জাতীয় দিবস হিসাবে পালিত হয়। দিবসটি উদযাপনে ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাস একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান অতিথি হিসাবে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এইচ.ই.জনাব নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সালমান রহমান এবং এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।
উদ্বোধনী ভাষণে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নওকি বলেন, ‘আজকে সম্রাট বলেছেন যে, আসুন আমরা সেই ব্যথা ভাগ করে নিই। আসুন আমরা একসাথে সহযোগিতা করি। ধৈর্যসহ মহামারীকে কাটিয়ে উঠতে আমি আমাদের সামনে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় রয়েছি। মহামারীটি আমাদের সকলের প্রতিদিনের জীবনকে প্রভাবিত করলেও, ২০২০ সাল জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের আরও জোরদার হতে দেখেছিল। মহামারীবিরোধী লড়াইয়ে জাপান বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল এবং প্রথমবারের মতো বাজেটে সহায়তার জন্য গত বছরের আগস্টে প্রায় ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘গত আগস্টে, আমি বিআইজি-বি এর মানের অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির জন্য প্রায় ৩২ লাখ ডলারের প্যাকেজটিতে স্বাক্ষর করেছি। এই মাইলফলক বছর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা জাইকা’র সেই মেগা প্রকল্পগুলোর সমাপ্তি দেখতে পাব। ঢাকা এমআরটি লাইন-৬ ডিসেম্বর মাসে আংশিকভাবে উন্মুক্ত হবে। এরপরে আড়াইহাজারের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক্সটেনশন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে ব্রিজ একের পর এক কাজ শুরু করবে। এগুলি তার সম্ভাব্যতা পূরণের জন্য বাংলাদেশের বিকাশের জন্য অপরিহার্য, এবং কাজ শেষ হয়ে গেলে এগুলো জীবন পরিবর্তন করবে। জাপান যথাসম্ভব বাংলাদেশের উন্নয়নে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
প্রধান অতিথি ডাঃ দিপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের আরও বিকাশের জন্য মূল উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে জাপানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ ও জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর জন্য কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকে কাজ করছে। ১৯৭২ সাল থেকে, বাংলাদেশ জাপানের কাছ থেকে বৃহত্তম সরকারী উন্নয়ন সহায়তা পেয়েছে, যা জাপানকে বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়নের অংশীদার করেছে। অবকাঠামো এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা, জল সম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কয়েকটি ক্ষেত্রে জাপানের অবদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ‘ তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত অংশীদার এবং শান্তিকামী দেশ হিসাবে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সমৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য আমরা সর্বদা একসাথে কাজ করেছি এবং একে অপরকে সমর্থন করেছি।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন যে, ‘এলডিসির সম্মান অর্জনের জন্য জাপানের সহযোগিতা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।