পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে পড়েছে। পাশের স্টাফদের থাকার আবাসিক ভবনও পরিত্যক্ত হয়ে আছে দীর্ঘদিন যাবত। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দেখা পান না কর্মরত চিকিৎসকদের।
জানা যায়, ১৯৮২ সালের ২০ ডিসেম্বর নওগাঁ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পাবনা সিভিল সার্জন ডা. শাহ মো. আমিনুল ইসলাম ও পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক টি এইচ চৌধুরী ভবনটির উদ্বোধন করেন। ভবনটি নির্মাণের পর একবার সংষ্কার কাজ করা হলেও বর্তমানে এর অবস্থা খুবই নাজুক। ছাদের ওপর বটগাছসহ অন্যান্য পরগাছা জন্মে তাদের শেকড় ছাদের ভেতরে ঢুকে গেছে। ভবনের ছাদ ও দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় অল্প বৃষ্টি হলেই পানি ঢুকে পড়ে। দরজা জানালাগুলোও নড়বড়ে। স্থানে স্থানে পলেস্তরা খসে পড়েছে। ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশ খসে পড়েছে, দরজা-জানালার অবস্থায়ও জরাজীর্ণ। যেকোনো সময় সেখানে বড় ধরনের অঘটনের আশঙ্কা রয়েছে। তবে সেখানে দায়িত্বে রয়েছেন একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ভিজিটর, একজন পিয়ন ও একজন আয়া। কিন্ত তারা থাকলেও চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার লোকজন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির একতলা ভবনটি প্রধান দরজাটি ভাঙাচোরা, ভেতরে কেউ নেই। একটি রুমে দরজা বন্ধ করে শুয়ে রয়েছেন কর্মরত এমএলএলএস মো. শাহাদত হোসেন। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে নড়েচড়ে বসেন। এ সময় তার সাথে কথা হলে বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হাবিবুল্লাহ আজাদ নেই। এছাড়া অসুস্থজনিত কারণে ছুটিতে রয়েছে আয়া শামসুন্নাহার। আর ভিজিটর আরজিনা খাতুন ঠিকমত অফিস করেন না। তিনি সলঙ্গা থানা সদর থেকে মাঝে মধ্যে আসেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী মালিপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ঔষধ নিতে এসে দরজা বন্ধ দেখে চলে গিয়েছিলাম। পরে আবার এসে ডাকাডাকি করার পর এমএলএলএস মো. শাহাদত হোসেন জানান, কেউ নেই ঔষধ দিতে পারবো না।
এমন অভিযোগ করে আব্দুল আলীম, পারভীন খাতুন, সালেহা খাতুনসহ অনেক রোগী বলেন, হাসপাতালে কখনও ঔষধ পাওয়া যায় না। এছাড়া ডাক্তাররা ঠিকমত আসেন না। নওগাঁ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হাবিবুল্লাহ আজাদ জানান, বিভিন্ন কাজে বাহিরে যেতে হয়। এজন্যই অফিসে অনেকেই পায় না। এছাড়া ভবনটির অবস্থা ভাল না। তাই সেখানে থেকে অফিস করা যায় না। আবাসিক ভবনটি প্রায় ১৫ বছর যাবত পরিত্যাক্ত হয়ে রয়েছে। সেখানে থাকার উপযোগী নয়। তাড়াশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মো. আনিসুর রহমানের যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।