মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মঙ্গলের ছবি পাঠাতে শুরু করেছে নাসার মহাকাশযান পারসিভারেন্স। শুধু ছবি নয়, একটি ক্লিপে মঙ্গলের শব্দও রয়েছে। এটিই হচ্ছে ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে পাঠানো প্রথম শব্দ।
নাসার অত্যাধুনিক যন্ত্রটি লালগ্রহে প্রাণের সন্ধান চালাচ্ছে। এই প্রথম পারসিভারেন্সের পাঠানো ভিডিও রিলিজ করেছে নাসা। মঙ্গলে নাসার রোভার পারসিভারেন্স ল্যান্ড করার মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছে ওই ভিডিও-তে। সেখানে মঙ্গলের শব্দও শোনা গিয়েছে। পারসিভারেন্সের দুইটি মাইক ওই শব্দ রেকর্ড করেছে। খুব হাল্কা হাওয়ার শব্দ রয়েছে ওই সাউন্ড ক্লিপে। তবে ল্যান্ডিং করার সময় মহাকাশযানের মাইক কাজ করেনি। ফলে ল্যান্ডিংয়ের সময় কোনো শব্দ রেকর্ড করা যায়নি।
নাসার দাবি রোভার পারসিভারেন্স এখনো পর্যন্ত নাসার তৈরি সবচেয়ে আধুনিক মহাকাশযান। মঙ্গলে মূলত পানি এবং প্রাণের সন্ধান চালাবে এই যানটি। যানটির সাথে এই প্রথম মহাকাশে হেলিকপ্টারও পাঠিয়েছে নাসা। মঙ্গলের আকাশে ঘুরপাক খাবে হেলিকপ্টারটি। আকাশ থেকে মঙ্গলের ছবি সংগ্রহ করবে হেলিকপ্টারটি।
অ্যাটলাস ভি রকেটে করেই মহাকাশে পাঠানো হয় রোভার পারসিভারেন্সকে।
৩০ জুলাই ফ্লোরিডার গবেষণাকেন্দ্র থেকে রকেটটিকে ছাড়া হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলে পৌঁছায় পারসিভারেন্স। অত্যাধুনিক পারসিভারেন্সে ২৩টি ক্যামেরা আছে। রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। দুইটি শক্তিশালী মাইক্রোফোন। মঙ্গলের পাথরে অক্সিজেনের সন্ধান চালাবে এই যানটি। এই প্রথম এ ধরনের পরীক্ষা চালাবে নাসা। এর আগে ২০১২ সালে মঙ্গলে কিউরিওসিটি পাঠিয়েছিল নাসা। এখনো পর্যন্ত মঙ্গলে ২১ কিলোমিটার ঘুরেছে ওই যানটি। কিউরিওসিটি কেবলমাত্র একটি রোভার নয়। তার ভিতরে আস্ত একটি পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মঙ্গলে পাঠানো সব চেয়ে আধুনিক মহাকাশযান কিউরিওসিটি।
১৯৯৭ সালে প্রথম মঙ্গলে কোনো গাড়ি বা রোভার নামে। সেই যন্ত্রটির নাম ছিল রোভার সোজর্নার। ওই মোবাইল রোবটে এক্স-রে যন্ত্র লাগানো ছিল। এখনো মঙ্গলে রয়েছে সোজর্নার। তবে কিউরিওসিটি পৌঁছানোর পরে ওই যানটির আর কোনো গুরুত্ব নেই। পারসিভারেন্স কিউরিওসিটির চেয়েও আধুনিক। এর গায়ে স্পেকট্রোমিটার লাগানো আছে। অনেক দূর থেকেও লেজারের সাহায্যে পাথর এবং মাটির কেমিক্যাল কম্পাউন্ড পরীক্ষা করতে পারে এই যন্ত্রটি। একই সঙ্গে বায়ুর চাপ, গতি, ঘনত্ব পরীক্ষা করতে পারে এই যন্ত্র। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।