মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা শুরুর জন্য ভূমিকা রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজীদ খান এমন আহবান জানিয়ে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশী হিসেবে অবস্থান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পাকিস্তান। এর জন্য সঠিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা নির্ভর করছে ভারতের ওপর। এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আমরা আহবান জানাই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক-ট্যাংক স্টিমসন সেন্টারের অনলাইন ফোরামে বক্তব্য রাখছিলেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদ‚ত। এ সময় তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে বিলম্ব হলে সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের উচিত তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করা। তিনি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের অবদানের প্রশংসা করেন এবং বলেন, তারাও যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এ সপ্তাহে স্টেট ব্যাংকের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তানে রেমিটেন্স পাঠানো হয়েছে ১৪০ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এই সংখ্যা অপ্রত্যাশিত বলেও বলা হয়। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা শতকরা ৪৫.৮ ভাগ বেশি। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদ‚ত আরো বলেছেন, আমরা বার বার শান্তির কথা বলে এসেছি। এ সময় তিনি বলেন, দখলীকৃত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা হয়। এর জন্য পাকিস্তানের ভিতরকার বিভিন্ন পক্ষকে দায়ী করে নয়াদিল্লি। তিনি আরো বলেন, ভারত অভিযোগ করেছিল, সেখানে সন্ত্রাসীদের ৩০০ ক্যাম্প আছে। ভারতের এই দাবিকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, ভারত হলো সেই দেশ, যেখানে পাকিস্তানকে ব্যবহার করে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা অর্জন করে। আমরা বলেছিলাম, ভারত এমনটা করার কারণ ছিল এই যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচন দিতে যাচ্ছিলেন। তার এই কৌশলের কারণে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মোদি। উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বার বার আলোচনা ও শান্তি স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু জবাবে ভারতীয়রা ২০১৯ সালের ৫ই আগস্ট একতরফাভাবে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনকে বাতিল করে এবং আরো নানা রকম পদক্ষেপ নিতে থাকে। এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি জানি না ভারতের সঙ্গে পাকিস্তান কোনো সম্পর্কে জড়াবে কিনা, আর তো বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলা পরের কথা। তিনি আরো বলেন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে, রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে বিষয়টি বাস্তবেই ভারতের ওপর নির্ভর করে। প্রথমেই তাদের গৃহীত সব একতরফা সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। তারপর শুধু কাশ্মীর নয়, সব বিরোধের মীমাংসা নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। এরপরই আমরা আমাদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং বিনিয়োগ বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করতে পারি। পাকিস্তানি এই রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান নতুন এবং বদলে যাওয়া পাকিস্তানের দিকে নতুন করে দৃষ্টি দিতে। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাস বিরোধী ব্যবস্থায় অত্যন্ত সফল হয়েছে এবং এ বিষয়ে বদ্ধপরিকর। ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।