Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে বসবাস পরাধীনতার শামিল: গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:১৯ পিএম

গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে বসবাস করা পরাধীনতার শামিল বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অর্জন যেমন আমাদের ভাষার অধিকার তেমনি শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিলো স্বাধীনতার প্রাপ্তি। যেই স্বাধীনতার আড়ালে ছিলো একটি চিন্তা- গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা আমরা এখনো প্রতিষ্ঠিত করতে পারি নাই। গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে বসবাস করা আর পরাধীন দেশের নাগরিকের সাথে খুব একটা আলাদা ভাবা যায় না। সোমবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, দেশটা স্বাধীন কাগজে-কলমে কিন্ত ‍আমরা পরাধীন। মাঝে মাঝে মনে হয় যে, সাত সাগর পাড়ি দিয়ে মনে হয় আমরা সৈকতেই পড়ে আছি। আমরা অনেক জীবন, আমাদের অনেক সাথী রক্ত দিলো, অত্যাচারিত হলো কিন্তু আজো সেই গণতন্ত্রকে আমরা মুক্ত করতে পারলাম না।

গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে সরকার একুশের চেতনাকে ভুলন্ঠিত করছে অভিযোগ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে এদেশে ৫০ বছরের প্রাক্কালে আমরা বেদনার সাথে বলতে বাধ্য হই যে, একুশের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা, স্বাধীনতার প্রত্যাশা আজকে ভূলণ্ঠিত। ক্ষমতাসীনরা স্বৈরাচারী কায়দায় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা, সকল প্রতিষ্ঠানকে ধবংস করে দিয়ে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে পরিচালিত করছে।

সরকার বিএনপিকে ভয় পায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, যখন আমরা রাস্তায় কথা বলতে যাই, সামান্য প্রতিবাদ করতে যাই আপনাদের সহ্য হয় না। এজন্য যে, আপনারা (ক্ষমতাসীন দল) দূর্বল। বিএনপিকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নাই। বিএনপি যদি দুর্বল হবে তাহলে ২৯ তারিখ রাত্রে আপনারা ভোট ডাকাতি করেছেন কেনো, রাস্তায় আমাদের বক্তৃতা পুলিশ দিয়ে মাঝপথে থামালেন কেনো? কারণ আপনারা বিএনপিকে ভয় পান, জনগণকে ভয় পান।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যে ভাষার জন্য, স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি, সেই স্বাধীনতা এখনো অর্জিত হয়নি, সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মুখে। তাই সকলকে কাজে-কর্মে সক্রিয় হয়ে সামনে আসতে হবে। এই ফ্যাসিবাদী মাফিয়া সরকারকে আর বেশিদিন ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তাহলে আমার আম-ছালা সবই যাবে, দেশও যাবে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বও যাবে আর ভাষাও যাবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ভাষা আন্দোলন কারা করেছেন সেটা সবাই জানে। আজকে নতুন নতুন নাম শুনি, তারা নাকী একু্শে ভাষা আন্দোলনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমি তাদের নাম উল্লেখ করতে চাই না। শুধু এইটুকু বলব যে, জোর করে ইতিহাস লেখা যায় না। ভাষা আন্দোলনে যাদের অবদান সেই অবদানের তালিকায় নতুন করে নাম য্গো করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। হাস্যকর হচ্ছে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গয়েশ্বর চন্দ্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ